দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আবদুল লতিফ এ তথ্য জানান।
রেজিস্ট্রার জানান, আইন ও শরিয়াহ অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার উমর আলী এবং পরিবহন অফিসের গাড়িচালক মুন্সি তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন মামুনুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলে হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান পদে চাকরির প্রলোভন দেখান তারা। মামুন এই পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে মামুনের কাছ থেকে ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে গ্রহণ করেন ওই দু'জন।
এই টাকা বর্তমানে উমর আলীর অ্যাকাউন্টে (অগ্রণী ব্যাংক, ইবি-০২০০০০৩০৯০৬৩৩) জমা আছে বলে জানা গেছে। চাকরি না পেয়ে প্রার্থী মামুনুর রশিদ উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একটি অডিও রেকর্ডের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পায় প্রশাসন। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৩(ডি) ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত ওই দু'জনকে সোমবার সন্ধ্যায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ছাড়াও অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।