পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে প্রতারণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রিজেন্ট বোর্ডেও ৪৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে কর্মচারী শৃঙ্খলা আইন ২০১৮-এর ৪(৩)গ ধারা মোতাবেক তাদের বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন- জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান এবং পরিবহন শাখার গাড়িচালক মো. আবদুল কাদের।
পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ ঘেটে জানা গেছে, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো মাহফুজুর রহমান ফৌজদারী মামলায় জেলে আটকের তথ্য গোপন করেন। একই সঙ্গে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু কওে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
মাহফুজুর রহমান অভিযোগনামার জবাব দাখিল করেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির পর ন্যায় বিচারের স্বার্থে আনীত অভিযোগ বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সেই তদন্তে মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে রিজেন্ট বোর্ডের ৪৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিপ্রবি কর্মচারী সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধান ও সরকারি-কর্মচারী বিভিমালা মোতাবেক তাকে চাকরি হতে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী তাকে চাকরি হতে ২০ ফেব্রুয়ারি অপসারণ করা হয়।
পরিবহন শাখার গাড়িচালক আবদুল কাদের পবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে বরিশালের উদ্দেশে প্রতিদিন চলাচলকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন জাল টিকিট সরবরাহ করে অর্থ আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযোগনামার জবাব দাখিল করেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির পর ন্যায় বিচারের স্বার্থে আনীত অভিযোগ বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে রিজেন্ট বোর্ডের ৪৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চাকরি হতে ২৪ ফেব্রুয়ারি অপসারণ করা হয়।