দুর্নীতির দায়ে খুলনার কয়রা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মিরাজুল আশরেকীনের বেতন বৃদ্ধি দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোয় প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ লঘুদণ্ড দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শেখ মিরাজুল আশরেকীন আগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, খুলনার কয়রা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মিরাজুল আশরেকীনের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে ওঠে। এসব অভিযোগে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে৷
পরে, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মিরাজুল আশরেকীনকে শোকজ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শোকজের লিখিত জবাব দেন এ কর্মকর্তা। পরে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন। পরে তার শুনানি গ্রহণ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানন, শোকজের লিখিত জবাব ব্যক্তিগত শুনানির বক্তব্য তদন্ত প্রতিবেদন নথিপত্র ইত্যাদি পর্যালোচনায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মিরাজুল আশরেকীনের বিরুদ্ধে ওঠা অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাকে লঘুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৪(২)(খ) ধারা মোতাবেক খুলনার কয়রা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মিরাজুল আশরেকীনের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৮ মার্চ গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।