মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইদুল আজহা। এই ইদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। কোরবানিতে নানা ধরনের পশু কোরবানি হলেও মূলত আমাদের দেশের গরুর প্রাধান্য বেশি। তবে দেশি গরুর চাহিদাই সবার শীর্ষে।
ক্রেতারা পশুর হাটে তন্ন তন্ন করে দেশি গরু খোঁজেন। দেশি গরুর মাংসের স্বাদ বিদেশি গরুর চেয়ে ভালো। তবে অনেকে বিদেশি গরুকে দেশি গরু ভেবে কিনে প্রতারিতও হন। এজন্য ক্রেতাদের দেশি গরু চেনার যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু কিভাবে চিনবেন দেশি গরু, এটা নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই।
পশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশি পশুর মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা ছোট ও মাঝারি আকৃতির। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশি পশু এক রঙের হয়। এদের পা চিকন ও শিং বড় হয়। এসবের বাইরেও পশু বিষয়ে অভিজ্ঞদের মতামত নিয়ে কোরবানি দেওয়ার জন্য দেশি গরু কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পশু বিশেষজ্ঞ রবিউল আলম বলেন, দেশি গরুর আকার-আকৃতি ছোট। কলকাতা, আসাম, ত্রিপুরা এলাকার গরুও একই আকৃতির। এসব পশুর মাংসের স্বাদও একই ধরনের। এ কারণে এসব এলাকার গরু ও দেশি গরু আলাদা করা সম্ভব হয় না।
এবার প্রথমবারের মতো কোরবানির হাটে পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমার ও ভুটানের গরু। এ ছাড়াও রয়েছে নেপালি গরু। এ সব অঞ্চলের গরুর শারীরিক গঠন প্রায় একই রকমের যা সাধারণত সিন্ধু প্রজাতির গরু নামে পরিচিত। গরুগুলো আকারে বড় ও লাল রঙের হয়ে থাকে। গরুগুলোর কপাল বড় ও শিং লম্বা ও বাঁকানো থাকে। চামড়া পুরু, গরুগুলোর পা আকারে শরীরের তুলনায় কিছুটা ছোট।