দেড় লাখ দারুল আরকাম শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চিত

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইফা মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম মাদ্রাসা বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে সারা দেশের প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। ফলে করোনা মহামারীর এ কঠিন সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহার-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন শিক্ষকরা। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, দারুল আরকাম মাদ্রাসাকে স্থায়ী রূপ দিতে সব ধরনের নিয়ম মেনে আলাদা প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি মিললেই সব সমস্যার সমাধান হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। শনিবার (৩০ মে) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন উবায়দুল্লাহ বাদল।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ইফার মহাপরিচালক ডিজি ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ বুধবার বলেন, দারুল আরকাম মাদ্রাসা এখন আলাদা প্রকল্পের মাধ্যমে করতে যাচ্ছে সরকার। এ নিয়ে কাজ চলছে। গত ডিসেম্বরে প্রকল্প শেষ হওয়ার কারণে ৪-৫ মাস ধরে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়া যাচ্ছে না। মাদ্রসাটি চালু করার সময় যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়োজন ছিল তার কিছুই মানা হয়নি। এখন সরকারের নিয়মনীতি মেনেই এটির প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ১১ মে পরিকল্পনা কমিশন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবিত পাঁচ বছর মেয়াদি মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৩ হাজার ১২৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম মাদ্রাসাকে বাদ রাখা হয়। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম মাদ্রাসাকে বাদ দেয়ায় উদ্বিগ্ন মাদ্রাসা শিক্ষকরা। এ প্রসঙ্গে দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতির মহাসচিব আনাস মাহমুদ বলেন, ৫ মাস ধরে আমরা বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। প্রকল্প থেকে মাদ্রাসা বাদ দেয়ায় মাদ্রাসার দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

ইতোমধ্যেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রতিকার চেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মাদারেরচর দারুল আরকাম মাদ্রাসার সভাপতি ও অভিভাবক শাহজামাল বলেন, জমি দেয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে দারুল আরকাম মাদ্রাসা করেছি। শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় অভিভাবকদের নানা কথা বলেছি। অথচ এখন দেখছি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ কয়েক মাস ধরে। আমরা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.011841058731079