পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্বের জের ধরে নকলায় ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষক-কর্মচারী পাঁচ মাস ধরে এমপিও বঞ্চিত হচ্ছেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে শেষ এমপিও উত্তোলন করেছেন তারা। এরপর বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত স্কুলটির শিক্ষক-কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাকে জানান, বিদ্যালয়ের দু’কর্মচারীর নিয়োগ ও কয়েকটি বিষয় নিয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই জেরে আমাদেরকে না খাইয়ে মারছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. মুনছুর আলী দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, সভাপতি এমপিও বিলে স্বাক্ষর না করায় বিল ব্যাংকে জমা দেয়া যাচ্ছে না। ফলে বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। আগস্টে কে বা কারা একজন দপ্তরিকে বেঁধে রেখে চলে যায়। এ নিয়ে মামলা হয়। মামলার অভিযোগ নামায় সভাপতি অমিনুল ইসলামের ভাই আরিফুল ইসলামের নাম আসে। সেই থেকে তিনি বিলে স্বাক্ষর করছেন না।
অপরদিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, সেপ্টেম্বরের পর বহুবার বেতন ভাতার বিল ছাড় করতে প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছেন তিনি। গত ২৯ নভেম্বর একবার এবং ১০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বার চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান শিক্ষক বরাবর। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টাও করেছেন তিনি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার কাছে এমপিও বিল পাঠান না। প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজেও তাকে কিছু জানানো হয় না। একাধিক বার চিঠি পাঠিয়ে সভা আহ্বান করা হলেও তিনি সভায় অংশগ্রহণ করেন না। আগস্টে একজন দপ্তরিকে বিধিবহির্ভূত ছুটি দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। তাই সেপ্টেম্বরে এমপিও বিলে স্বাক্ষর করেননি তিনি। পরে শিক্ষকদের কথা ভেবে প্রধান শিক্ষকের কাছে সে বিল চাইলেও তিনি তা দেননি।
জানা গেছে, গত বছর আগস্টে বিদ্যালয়ের একজন দপ্তরিকে বেঁধে রেখে মারধর করায় থানায় অভিযোগ করা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ সভাপতি নিজেই দিয়েছিলেন। পরে মামলার অভিযোগপত্রে বিদ্যালয়ের সভাপতি আমিনুল ইসলামের ছোটভাই আরিফুল ইসলামের নাম আসে। সেই থেকে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। এছাড়াও বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে কিছু জাটিলতা আছে। প্রধান শিক্ষক একজনকে চাকরি দেয়ার কথা বলে স্কুলের নামে জমি দখল করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।