দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জুবাইর আহমেদকে (৮) আসামি করেছে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। মামলাটি রাজশাহীর শ্রম আদালতে চলমান রয়েছে। শিশু সন্তানকে আসামি করা নিয়ে বিব্রত তার পরিবার। শিক্ষার্থী জুবাইর আহমেদ পবা উপজেলার পূর্বপুঠিয়া পাড়া গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে। জুবাইর স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা নিজের জুতার দোকানে শখের বসে ছেলের নাম লিখে এ বিপাকে পড়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলায় পৌর মার্কেটে জুতার দোকানে প্রোপাইটারের পাশে জুবাইরর বাবা শখ করেই নাম লিখেছিলেন ছেলের। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দোকান বন্ধ না রাখায় শ্রম আইন ২০০৬ এর লঙ্ঘন দেখিয়ে এ দুই নামেই মামলা করে দপ্তরটি। পাঁচমাস পর পাওয়া সে মামলার সমনে দেখা যায় তাতে আসামি করা হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জুবাইরকে।
এতে প্রথমে ২৫ মার্চ ও পরে ২০ সেপ্টেম্বর শুনানির তারিখ দেয় শ্রম আদালত। তাতে, শিশুটির আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়া নিয়ে বিব্রত তার পরিবার। জুবাইর ও তার বাবা জুনাব আলীর মতো পবা উপজেলার পৌর মার্কেটের দোকান মালিকদের দাবি, নিয়মের মধ্যে থেকেও প্রতিনিয়ত মামলার শিকার হচ্ছেন তারা।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, যেদিন মামলা দিছে সেদিন আমরা দোকান খুলিওনি। দোকান বন্ধ থাকার পরও দেখি মামলার নোটিশ চলে আসে।
আসামি পক্ষের আইনজীবি এস আলম জামান রাসেল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলছেন, শ্রম আইন মতে ৮ বছরের এই শিশুটি মামলা ভুক্ত হতে পারে না। শিশু জুবাইরের শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে শ্রম আদালত।
এ বিষয়ে কথা বলতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।