ওয়ানডেতে দ্রুততম ছয় হাজার রান ও আড়াইশ উইকেটের কীর্তি গড়লেন সাকিব আল হাসান। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডারের এই অর্জনে লেগেছে ২০২ ম্যাচ। রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির অধিকারে। এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডারের লেগেছিল ২৯৪ ইনিংস।
এই ডাবল আছে আর কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস (২৯৬) ও শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়ার (৩০৪)।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে ১৯০ ইনিংস লেগেছে সাকিবের। ক্রিজে সে সময় তার সঙ্গী তামিম ইকবাল প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছিলেন মাইলফলকটি, তার লেগেছিল ১৭৭ ইনিংস।
গতকাল খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছুড়ে দিয়েছিল বড় রানের চ্যালেঞ্জ। সাকিব আল হাসানের দাপুটে সেঞ্চুরি আর লিটন দাসের দুর্দান্ত ফিফটিতে সহজেই সেই রান ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতল ৭ উইকেটে।
সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ সফল বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতা বিশ্বকাপেও বয়ে আনলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো হারাল ক্যারিবিয়ানদের।
জেসন হোল্ডারের দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৩২১ রান ছাড়িয়ে গেছে ৫১ বল বাকি থাকতে।
ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়। বিশ্বকাপের গত আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান করে জয় ছিল আগের রেকর্ড।
৯৯ বলে ১৬ চারে ১২৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৬৯ বলে চারটি ছক্কা ও আটটি চারে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (গেইল ০, লুইস ৭০, হোপ ৯৬, পুরান ২৫, হেটমায়ার ৫০, রাসেল ০, হোল্ডার ৩৩, ব্রাভো ১৯, টমাস ৬*; মাশরাফি ৮-১-৩৭-০, সাইফ ১০-১-৭২-৩, মুস্তাফিজ ৯-০-৫৯-৩, মিরাজ ৯-০-৫৭-০, মোসাদ্দেক ৬-০-৩৬-০, সাকিব ৮-০-৫৪-২)।
বাংলাদেশ: ৪১.৩ ওভারে ৩২২/৩ (তামিম ৪৮, সৌম্য ২৯, সাকিব ১২৪*, মুশফিক ১, লিটন ৯৪*; কটরেল ১০-০-৬৫-০, হোল্ডার ৯-০-৬২-০, রাসেল ৬-০-৪২-১, গ্যাব্রিয়েল ৮.৩-০-৭৮-০, টমাস ৬-০-৫২-১, গেইল ২-০-২২-০)
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাকিব আল হাসান
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা জুটি
শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে টানা তিন ছক্কা হাঁকালেন লিটন দাস। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পেয়ে গেল নিজেদের সেরা জুটি।