রামগড়ের পার্শ্ববর্তী উত্তর ফটিকছড়ির হেয়াঁকোতে স্থানীয় হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রিকে ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে শিশু কন্যাটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় আব্দুল বারেক(৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে মেয়েটি। সোমবার রাতে ভিকটিমের মা রাহেনা আক্তার ভুজপুর থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ আব্দুল বারেককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন, জানায়, ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নের পূর্ব মুসলিমপাড়ার বাদশা মিযার ছেলে আব্দুল বারেক প্রতিবেশীর শিশু কন্যা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রিকে (১৩) বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরমধ্যে মেযেটি অন্তঃসত্ত্বা হযে পড়লে বিষয়টি অভিভাবকের নজরে আসে। মাযের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি সব কিছু প্রকাশ করে দেয়। মেয়েটি বারেককে চাচা ডাকতো।
এদিকে, ঘটনাটি গ্রামে জানাজানি হলে ধর্ষক বারেক আপোস রফা করতে উঠেপড়ে লাগে। বৃহষ্পতিবার (২২ আগস্ট) গভীর রাতে গ্রামের সর্দার নুরুল ইসলাম লাতু ও মঞ্জুরুল আলমের উদ্যোগে ঘটনাটি চাপা দিতে দফারফা করা হয়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার জহির উদ্দিন জানান, ঐরাতে (রাত আনুমানিক আড়াইটা) সর্দার লাতু মোবাইল ফোনে কল করে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য শালিস বৈঠকে আসার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু মেম্বার জহির তার এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। পরদিন এলাকায় প্রচার করা হয় বারেকের সঙ্গে কন্যা শিশুটির বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এলাকাবাসী মেয়েটির স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে ঘটনাটি লিখিতভাবে জানায়। এর প্রেক্ষিতে স্কুল কমিটির সভাপতি ঘটনাটি ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
সোমবার(২৬ আগস্ট) রাতে ইউএনওর নির্দেশে দাঁতমারা ফাঁড়ির পুলিশ বারেককে তার বাসা থেকে আটক করে। ঐ রাতেই মেযেটির মা ভুজপুর থানায গিযে বারেকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দাযের করেন।
জানা যায়, বারেক পেশায় বাবুর্চি এবং তিন সন্তানের জনক। ভিকটিমের বাবা অতি দরিদ্র।