ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলের আইসিইউতে দুদিন থাকার পর গতকাল রোববার মারা গেছে কলেজছাত্রী ইয়াসমিন। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহের তারকান্দা উপজেলায়। সে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খামারহাটি গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নেত্রকোনা সদর উপজেলার ত্রিপুর বালী গ্রামের মৃত হাশেম উদ্দিনের ছেলে সহপাঠি আলমগীরকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পূর্বধলা থানার ওসি মো. তাওহীদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আরও জানান, গত ২১ আগস্ট বেড়ানোর কথা বলে নেত্রকোনা আবু আব্বাস কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থী ইয়ামমিনকে ফুফাতো ভাই সহপাঠী আলমগীর তার কর্মস্থল ময়মনসিংহের তারাকান্দা নিয়ে যায়। পরে কোকের সাথে অচেতন ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করালে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করলে অসুস্থ হতে থাকে ইয়াসমিন। পরদিন গরমে অসুস্থ হয়েছে বলে ২২ আগস্ট ইয়াসমিনের মাকে খবর দিয়ে শ্যামগঞ্জ রেললাইন এলাকায় মায়ের হাতে তুলে দেয় মেয়েকে।
এরপর নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতিতে দেখে তাকে আইসিইউতে রাখা হলে গত রোববার ইয়াসমিন মারা যায়। এ ঘটনায় ইয়াসমিনের মা নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে রোববার রাতেই আসামি আলমগীরের নাম উল্লেখসহ আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত করে পূবর্ধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ওসি আরও জানান, নিহত ইয়াসমিন একাধিকবার ধর্ষিত হয়েছে।