লালমনিরহাটে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় নকল করার অপরাধে দুই পরীক্ষার্থী ও নকলে সহায়তা করার অপরাধে ৭ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) নেছারিয়া কামিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে ইংরেজী পরীক্ষা চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
বহিষ্কৃতরা হলেন, নেছারিয়া কামিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, মোগলহাট ইটাপোতা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ভব বঞ্জন বর্মণ, চরকুলাঘাট দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মরিয়ম বেগম, হারাটি দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক রহমত আলী, বলিরাম দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম, বেরপাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক নাছির উদ্দিন ও একই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ এবং মোগলহাট ইটাপোতা দাখিল মাদরাসা ও কাশিপুর ছিলাখানা দাখিল মাদরাসার দুই পরীক্ষার্থী।
জানা যায়, শনিবার ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে ইংরেজী পরীক্ষা চলাকালে মোগলহাট ইটাপোতা দাখিল মাদরাসা ও কাশিপুর ছিলাখানা দাখিল মাদরাসার দুই পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নের উত্তর বলে দেন পরীক্ষাকেন্দ্রের ১১ ও ১২ নম্বর কক্ষের কয়েক শিক্ষক। এই ঘটনায় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. মোসলেম উদ্দিন ওই দুই কক্ষের দায়িত্বে থাকা ৭ শিক্ষক ও ওই ২ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সহায়তার অভিযোগে বহিষ্কার করেন।
জানতে চাইলে বহিষ্কৃত সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ২ পরীক্ষার্থী আমার কাছে একটা বিষয় বুঝরত চেয়েছিল। আমিও সরলভাবে বলে দিয়েছিলাম। এটা আমার ভুল হয়েছে। এই দুই কক্ষে নিয়োজিত শিক্ষকদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের নিকট ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু সাজা থেকে মাফ পাইনি।
লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. মোসলেম উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পরীক্ষার হলের দায়িত্বে থাকা সাজেদা বেগম নামের একজন সহকারী শিক্ষক ১১ ও ১২ নম্বর কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকদের সহযোগিতায় দুই শিক্ষার্থীকে উত্তর বলে দেন। এটা দেখতে পান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। পরবর্তীতে নকলে সহায়তা করায় ওই দুই কক্ষের দায়িত্বে নিয়োজিত ৭ শিক্ষক ও নকল করার অপরাধে ২ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।