এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৪৮৩টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এমপিও আবেদন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দেয়া যাবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক শিক্ষক কর্মচারী আবেদন করতে না পারায় এমপিও আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আবেদনের সময় বাড়িয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, নতুন এমপিওভুক্ত ৪৮৩টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আবেদনের সময় ৭ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারেননি এসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। যারা এখনো এমপিও আবেদন করতে পারেনি তাদের আবেদন আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দেয়া যাবে।
এরআগে ১ম দফায় ৩ মে পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৪৮৩টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদনের সময় দেয়া হয়েছিল। তবে, শিক্ষকরা সময় বাড়ানোর দাবি জানান। এনিয়ে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমে 'এমপিওর আবেদনের সময় বৃদ্ধি চান কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর আবেদনের সময় ২য় দফায় ৭মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। অনেক শিক্ষক আবেদন করতে না পাড়ায় তৃতীয় দফায় আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হলো।
গত ৩০ এপ্রিল নতুন এমপিওভুক্ত মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত ভাবে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৪৮৩টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। ৩৯টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে ২৬৩টি বিএম কলেজ, ৬০ টি কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান এবং ১৬০ টি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান। আর তালিকা থেকে ২০ টি বিএম কলেজ, ১৭টি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান ও ২টি কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে বেতন ভাতা পাবেন। আর কোন প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে তার এমপিও স্থগিত করা হবে।