এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৪৮৩টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল ৭ মের মধ্যে এমপিও আবেদন হার্ডকপি ও সফটকপিতে পাঠাতে হবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে। শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে এমপিও আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (৬ মে) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নতুন এমপিওভুক্ত কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আবেদনের সময় ৭ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদনের হার্ডকপি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠাতে বলা হয়েছে। নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিধিমতে নিয়োগপ্রাপ্ত সব শিক্ষক-কর্মচারী যেন ঈদের আগেই বকেয়াসহ বেতন পান তা নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট।
এরআগে ৩ মে পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৪৮৩টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদনের সময় দেয়া হয়েছিল। তবে, শিক্ষকরা সময় বাড়ানোর দাবি জানান। এনিয়ে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমে 'এমপিওর আবেদনের সময় বৃদ্ধি চান কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার নতুন এমপিওভুক্ত মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত ভাবে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৪৮৩টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। ৩৯টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে ২৬৩টি বিএম কলেজ, ৬০ টি কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান এবং ১৬০ টি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান। আর তালিকা থেকে ২০ টি বিএম কলেজ, ১৭টি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান ও ২টি কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে বেতন ভাতা পাবেন। আর কোন প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে তার এমপিও স্থগিত করা হবে।