নতুন বছরের শুরুতেই বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

নতুন (২০২০) বছরের শুরুতেই পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতে পারে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) একটি সূত্র বলছে, যেহেতু পিডিবির পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষে মূল্যায়ন কমিটির মত এসেছে, তাই বিদ্যুতের দাম কম-বেশি বাড়বে। সূত্র জানায়, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে, তবে বর্ধিত মূল্য ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়াতে উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোর দেয়া প্রস্তাবের ওপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ৪ কার্যদিবসের গণশুনানি গত মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। আইন অনুযায়ী আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত জানানোর বাধ্যবধাকতা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন ফয়েজ আহমেদ তুষার। 

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের গত দুই (নবম ও দশম সংসদ) মেয়াদে ৮ দফায় বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা দাম বাড়ানো হয়। নবম সংসদের মেয়াদে সরকারের বিদ্যুৎ খাতের নীতিনির্ধারণী মহলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের পর বিদ্যুতের দাম কমে আসবে। তবে তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিদ্যুৎ খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের ভুল নীতির কারণেই বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। আর সেই বোঝা ভোক্তাদের ঘাড়ে চাপছে। আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে হরতাল ডাকার ঘোষণা দিয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। একই ইস্যুতে বিএনপিও প্রতিবাদী কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এলএনজি আমদানির কারণে গ্যাসের মূল্য সমন্বয়ের বিবেচনায় গত ১ জুলাই থেকে সব ধরনের গ্যাসর মূল্য গড়ে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ায় সরকার। এরমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয় ৪১ শতাংশ। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাব বিদ্যুতের ওপর পড়বে না। অথচ এবার পিডিবি পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনেছে। আর পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা বলেছে বিতরণ কোম্পানিগুলো।

বিইআরসির গণশুনানিতে দেখা গেছে, পিডিবি লোকসানের অজুহাত দিয়ে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। সেই সুযোগে লাভে থাকা বিতরণ কোম্পানিগুলোও গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছে। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বিভিন্ন ভোক্তা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নানা তথ্য-উপাত্ত ও যুক্তি উপস্থাপন করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সর্বশেষ ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর গ্রাহক-পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়। তখন ইউনিট প্রতি ৩৫ পয়সা বা পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ হারে দাম বাড়ানো হয়, যা একই বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। ওই সময় পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়নি। এর আগে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়। গত অক্টোবরে বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ মূল্য বাড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিইআরসিতে প্রস্তাব জমা দেয়। গত ২৮ নভেম্বর থেকে বিইআরসি এসব প্রস্তাবের উপর গণশুনানি শুরু করে, যা ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়।

এবার গণশুনানির প্রথম দিন ২৮ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাইকারিতে বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যয় ছিল ৫ টাকা ৮৩ পয়সা। এখন বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ৪ টাকা ৭৭ পয়সা। এর ফলে গত অর্থবছরে প্রায় ৬ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। ২০২০ পঞ্জিকা বছরে গড় সরবরাহ ব্যয় হবে ৫ টাকা ৮৮ পয়সা হবে। কিন্তু বর্তমান মূল্য বজায় থাকলে এ বছর ঘাটতি হবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। এ ঘাটতি পোষাতে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ১ টাকা ১১ পয়সা বাড়ানো প্রয়োজন। দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, গ্যাসের মূল্য ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি, কয়লার ওপর নতুন করে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধি ও কোন কোন বিতরণ সংস্থা কর্তৃক সময়মতো টাকা পরিশোধ না করার কথা উল্লেখ করা হয়। বিইআরসির উপপরিচালক (ট্যারিফ) ও কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি জানায়, কমিটি পিডিবির প্রস্তাব পর্যালোচনা করেছে। কমিটি মনে করে পাইকারি মূল্য ৯৩ পয়সা বা ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে।

ওইদিন বিকেলে বিদ্যুতের সঞ্চালন মাশুল ৫০ দশমিক ৭৭ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় লাভে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। এর বিপরীতে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর কথা বলে।

এরপর ১ ডিসেম্বর সকালে পিডিবির গ্রাহক-পর্যায়ের খুচরা বিদ্যুতের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর এবং দুপুরে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) শুনানি হয়। ২ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এবং দুপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)-এর শুনানি হয়। গতকাল ৩ ডিসেম্বর সকালে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এবং দুপুরে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)-এর গ্রাহক-পর্যায়ে মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানির মধ্য দিয়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির শুনানি শেষ করে বিইআরসি।

শুনানি শেষে ডিপিডিসির ইউনিটপ্রতি বিদ্যুত বিতরণ ব্যয় ৮৭ পয়সা এবং ডেসকোর ব্যয় ৮১ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করে বিইআরসি। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জন্য এই সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে ডিপিডিসির বিতরণ ব্যয় ইউনিটপ্রতি ৭৩ পয়সা এবং ডেসকোর ৬৪ পয়সা। ডিপিডিসি এবং ডেসকো; দুটি বিতরণ কোম্পানিই এখন বিদ্যুৎ বিক্রি করে লাভ করছে। লাভে থাকা নেসকোর বিদ্যুতের বিতরণ ব্যয় এক টাকা ৩১ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাবের বিপরীতে বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি ১ টাকা ১৫ পয়সা করার সুপারিশ করে। মূলত রাজশাহী ও রংপুরের শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণকারী এই কোম্পানিটির বর্তমান বিতরণ ব্যয় ১ টাকা ১১ পয়সা। বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারের অনুপাতে খুচরা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে পিডিবি। শুনানিতে আরইবি ইউনিটপ্রতি বিতরণ ব্যয় ১ টাকা ৫৩ পয়সা এবং ওজোপাডিকো ১ টাকা ৪০ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করে। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি আরইবির জন্য ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের বিতরণ ব্যয় ১ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ওজোপাডিকোর জন্য ইউনিটপ্রতি বিতরণ ব্যয় ১ টাকা ৭ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করে।

রাজধানীর কাওরান বাজারের টিসিবি মিলনায়তনে গত ৪ কার্যদিবসে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা মূল্য এবং সঞ্চালন মূল্য বাড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি গ্রহণ করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। এ সময় কমিশন সদস্য রহমান মুরশেদ, সদস্য মাহমুদউল হক ভূঁইয়া ও সদস্য মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। শুনানির প্রথম দিন কমিশনের অপর সদস্য মো. আবদুল আজিজ খান উপস্থিত থাকলেও বিতর্কের কারণে পরবর্তী দিনগুলোতে তিনি আসেননি। বিইআরসির উপ-পরিচালক (ট্যারিফ) ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই শেষে শুনানিতে কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থান করেন।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিকিউরিটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহানুর সরকার, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা গণশুনানিতে অংশ নিয়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন।

বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি : বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির গণশুনানি চলাকালে মঙ্গলবার টিসিবি ভবনের বাইরে সিপিবি ও বাসদ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে প্রহসনের গণশুনানি উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের সভাপপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদের নগরনেতা খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবির সাজ্জাদ হোসেন রুবেল প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার তার দুর্নীতি জনগণের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। জনগণ এই অন্যায় মানবে না। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নয়, দাম কমাতে হবে।

বক্তারা বলেন, জ্বালানি খাতের দায়মুক্তির আইন বাতিল করতে হবে। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট এবং ভুল নীতির দায় জনগণ নেবে না। তারা বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলো সব লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এদের দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি বাড়ানো চলবে না।

বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম শুনানি শেষে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। দুর্নীতির কারণে অনেক খাত পিছিয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে পিছিয়ে দেয়া চলবে না। বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক এই সচিব বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলোর অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। তবে ভোক্তাদের স্বার্থ দেখতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা গত চার দিন পিডিবিসহ ছয়টি বিতরণ কোম্পানি এবং একটি সঞ্চালন কোম্পানির প্রস্তাবিত দামের ওপর শুনানি করেছি। গত চারদিন অনেক অভিমত আমরা পেয়েছি। তাদের প্রস্তাব ও মতামত আমরা যাচাই-বাছাই করব। তিনি জানান, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046858787536621