যশোর শহরের ভৈরব নদের জায়গা দখল করে নির্মিত ৩৬টি বইয়েরে দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসব দোকান শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় অবস্থিত। এটি যশোরের সবচেয়ে বড় বই বাজার। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে এসব বইয়ের দোকান ভেঙ্গে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মহসিন সরকার দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমাদের ৩৬টি দোকান ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন পথে বসেছি আমরা।
যশোর অঞ্চলের দীর্ঘতম নদ ভৈরব খনন ও নদের জায়গা থেকে দখলদারদের উচ্ছেদের জন্যে দীর্ঘদিন ধরে যশোরবাসী আন্দোলন করে আসছিলেন। যার পরিপ্রক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরব নদ খননের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে একনেকের সভায় ২২৯ কোটি টাকার ‘ভৈরব রিভার বেসিন এলাকায় জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প পাস হয়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় খনন কাজ। কিন্তু নদের শহর অংশের বেশিরভাগই স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় এ অংশ খননের জন্য কোনো ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছিল না। এ অংশ খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চারবার দরপত্র আহ্বান করলেও তাতে কোনো ঠিকাদারই অংশ নেননি। সে কারণে এই অংশ থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা জরুরি হয়ে পড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ‘ভৈরব নদের যশোর শহর অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। সিএস খাস অবস্থান অনুযায়ী নদের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শহরের কাঠেরপুল এলাকা থেকে বকুলতলা পর্যন্ত নদের জায়গার মধ্যে ৮৪টি স্থাপনা পড়েছে। প্রথম পর্যায়ে এগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।