শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে একটি মাধ্যমিক ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বালুর বস্তা ফেলে স্কুল দুটি রক্ষার চেষ্টা চলছে।
সরেজমিনে বুধবার বিকালে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ১৫ হাজার বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলা হয়েছে। নদী ঘেঁষে ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে চারতলা ফাউন্ডেশনের একতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। আর ১০০ হাত দূরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর পাশেই ভানু মল্লিক কান্তি জামে মসজিদ, কাজিয়ার চর কমিউনিটি ক্লিনিক ও ১৮টি দোকান নিয়ে কাজিয়ার চর বাজারও আছে ভাঙনের হুমকিতে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বলেন, আগে বিদ্যালয়ে ৩৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী ছিল। দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে।
চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, গত বছর তীব্র ভাঙন শুরু হয়। তখন বিদ্যালয় ভেঙে যাবে ভয়ে জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় কাজিয়ার চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শাখা খোলা হয়। সেখানে আড়াইশ শিক্ষার্থী রয়েছে। পদ্মার পাড়ে বাকি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাঙনের মুখে রয়েছি। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ না করতে পারলে বিদ্যালয়টি টিকানো সম্ভব হবে না।
জাজিরার ইউএনও প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিদ্যালয় দুটি রক্ষার্থে কাজ করছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, বিদ্যালয় ভাঙন রোধে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৬০ লাখ টাকার বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও ফেলা হবে।