বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন থেকে পটুয়াখালীর বাউফলের ৭১নং নিমদী সকরারি প্রাইমারি স্কুল রক্ষার চেষ্টা শুরু হয়েছে। এতে আনন্দিত হলেও টেকসই প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগের স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গত ১৮ মে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামিমের পরিদর্শনের পর সপ্তাহখানেক আগে থেকে শুরু হয়েছে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন কবলিত ৭১ নং নিমদী সরকারি প্রাইমারি স্কুল রক্ষার কাজ। ভাঙ্গন রোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলায় আশার সঞ্চার হলেও প্রকল্পের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কিত নিমদী, ধানদী, ডালিমা, কচুয়া ও তাঁতেরকাঠী এলাকার লোকজন।
ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণসহ চার-চারবার স্থান পরিবর্তনর পরেও ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে থাকা ওই স্কুলটি রক্ষায় মন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে স্থানীয় নিমদীল ঘাট এলাকার কয়েকজন জেলে ও ব্যাবসায়ীরা জানান, পাঁচ গ্রামের বিশাল এলাকার মধ্যে মাত্র ২০০ মিটারে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে স্কুল ভবনটি আপতত রক্ষা হলেও কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই। বর্ষার তীব্র স্রোতে এসব জিও ব্যাগ কতদিন টিকবে তা নিয়েও সন্দিহান অনেকে। স্থানীয়রা জানান, জোয়ার-ভাটায় নদীর ধানদী-ডালিমা এলাকার যে অংশে মূল স্রোতের চাপ পড়ছে সেখানটায় ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা না গেলে কোন জিও ব্যাগে রক্ষা পাবে না ভাঙ্গন কবলিত এসব এলাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ পাওয়া জিও ব্যাগ উৎপাদনকারী ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওই ব্যাগে ৩০০ কেজি বালু ভর্তির কথা থাকলেও কম বালু ভরেই সেলাই করা হচ্ছে ব্যাগ। আর ব্যাগের বালুতেও মিশে থাকছে প্রচুর পরিমানে কাঁদা। পানিতে ফেলার পরে ধুয়ে প্রায় অর্ধেক ও ডিলেডালা হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ ব্যাগ। নদীর মাত্র ২০০ মিটার অংশে তীর থেকে প্রায় ৯ মিটার গভীরে ফেলা হবে ১৩ হাজার জিও ব্যাগ।
এ ব্যাপারে জানতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভর্তি ও সেলাই কাজের দায়িত্বে থাকা আ. জলিল নামে একজন দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাগে ২৮০-৩০০ কেজি বালু থাকে। ব্যাগে বালুর সঙ্গে কাঁদা কিছু থাকতে পারে। ইতিমধ্যে ৫ হাজার ২০০ ব্যাগ ভর্তি করে কুল থেকে নদীর দিকে ৯ মিটার এলাকায় ফেলা হয়েছে।’