প্রমত্তা সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির শান্তিহার কুনিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সন্ধ্যার অব্যাহত ভাঙনে বিদ্যালয় ভবনটির এক প্রান্ত শূন্যে দাঁড়িয়ে আছে। ভবনের দেয়ালসহ মেঝের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের ৬২ শতাংশ জমির মধ্যে বেশির ভাগই এরই মধ্যে সন্ধ্যার করালগ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সম্প্রতি ভাঙনের ফলে বিদ্যালয় ভবনটির অনেকাংশ শূন্যে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা যে কোনো সময় ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে ঘটতে পারে প্রাণহানিসহ মারাত্মক দুর্ঘটনা।
বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে পাশের ১৬২ নম্বর শান্তিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বসে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা দিয়েছে। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে পাকা ভবনটি নির্মিত হয়। বিগত দিনে বিদ্যালয়টিতে শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করলেও অব্যাহত নদীভাঙনের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশির ভাগ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে মাত্র ২৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক স্বরূপকাঠির সন্ধ্যা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিদ্যালয়টি রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুম জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এলাকা পরিদর্শন করে। কিন্তু ভাঙন থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষার্থে অদ্যাবধি কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু জানান, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডিজাইন করে প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে প্রাক্কলন তৈরি করে টেন্ডারের ব্যবস্থা করা হবে।’