অপেক্ষমান তালিকা থেকে ৩৭তম বিসিএসের ননক্যাডারে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৩৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৫৪ জনকে ননক্যাডারে অপেক্ষমান রাখা হয়েছে। পদ পাওয়া সাপেক্ষে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে বলে পিএসসি সূত্র জানিয়েছে।
পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বেশ কিছু ননক্যাডার শূন্য পদের চাহিদা তাদের কাছে এসেছে।
৩৭তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ননক্যাডারে নিয়োগ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, তাঁরা বেশ কিছু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (ননক্যাডার) শূন্য পদের তালিকা পেয়েছেন। তালিকা অনুসারে প্রথম শ্রেণির পদের চাহিদা প্রায় ৭০০। আর দ্বিতীয় শ্রেণির পদের চাহিদা প্রায় ৩০০। এ ছাড়া প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের পদ আছে প্রায় আড়াই হাজার।
এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, তাঁরা যে চাহিদা পেয়েছেন, সেখানে প্রতিটি পদের বিপরীতে শর্ত আছে। শর্ত মিলে গেলেই নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদে চাইলেই সবাইকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। বিভিন্ন শর্ত মিলে গেলে নিয়োগ দেওয়া যাবে।
মোহাম্মদ সাদিক বলেন, অপেক্ষমান তালিকা থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ দিতে তাঁরা চেষ্টা করেন। শর্ত না মিললে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না। যেমন, কোনো পদের জন্য বিজ্ঞান থেকে পাস করা প্রার্থী দরকার। সেখানে বিজ্ঞানের প্রার্থী না পেলে সমাজ বিজ্ঞানের প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হয় না। এভাবে বেশ কিছু প্রার্থী বাদ পড়েন।
৩৭তম বিসিএসের বিজ্ঞাপনে ১ হাজার ২২৬ জনের কথা থাকলেও ১ হাজার ৩১৪ জনকে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি। এতে সাধারণ ক্যাডার হয়েছেন ৪৬৫ জন, সহকারী সার্জন হয়েছেন ২৭২ জন, ডেন্টাল সার্জন হয়েছেন ৫১ জন। অন্যান্য কারিগরিতে ক্যাডার হয়েছেন ৩১৬ জন। শিক্ষায় ক্যাডার হয়েছেন ২১০ জন।