সংবাদপত্রে কর্মরতদের জন্য ঘোষিত নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন।
তথ্য ও শ্রমসচিবসহ সব বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) পক্ষ থেকে করা এক সম্পূরক আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন মো. ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে আছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
এর আগে নোয়াবের করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ৬ আগস্ট নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে গেজেট প্রকাশের ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। দুই মাসের জন্য ওই আদেশ দেওয়া হয়। নোয়াব সভাপতি (প্রথম আলো সম্পাদক) মতিউর রহমানের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।
আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে শ্রম আইন অনুযায়ী অংশীজনদের আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে নবম ওয়েজ বোর্ড চূড়ান্ত করা এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশের সুপারিশ করে সরকারের কাছে পাঠানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
গেজেট জারির ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। গত ১৪ আগস্ট চেম্বার বিচারপতির আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
পরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগে শুনানি শেষে গত ২০ আগস্ট এক আদেশে হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এরপর আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে নোয়াব একটি আবেদন করে। গত ৯ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ এক আদেশে এই আবেদনের ওপর আগামী ২০ অক্টোবর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এ অবস্থায় গত ১২ সেপ্টেম্বর সরকার নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশ করে।