এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নভেম্বর মাসের বেতনের সাথেই ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি যুক্ত করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে হিসেব করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে। ২৮ অথবা ২৯ নভেম্বর বেসরকারি স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের নভেম্বর-২০১৮ মাসের অনুদানের চেক ব্যাংকে পাঠানো হতে পারে। হিসেব কষার জন্য এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পাবেন শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয় শিক্ষা অধিদপ্তরকে দেয়া এক চিঠিতে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই থেকে বার্ষিক পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা দেয়ার আদেশ দিয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক শনিবার বিকেলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আগামী বৈশাখ মাসে [এপ্রিল] সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পাবেন। ১ জুলাই থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দিতে হিসেব কষতে হবে। হিসেবটা খুব কষ্টকর হবে না বলে মনে হয়। নভেম্বর মাসের অনুদানের সাথেই যুক্ত করে দেয়া হতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি এক বিবৃতিতে চলতি নভেম্বর মাসের এমপিওর সাথেই ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে সই করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মো: বজলুর রহমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: কাওছার আলী সেখ, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সহ-সভাপতি মো. আবুল কাশেম, আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নূরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা জামান খান, দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হেনা রাণী রায়, গ্রন্থাগার সম্পাদক আশোক কান্তি গুহ, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহমিদা রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য মনি হালদার, মনোরঞ্জন মন্ডল, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মো. আজম আলী খান, প্রবীর রঞ্জন প্রমুখ।
এদিকে অপর একটি শিক্ষক সংগঠনের নেতা মো: নজরুল ইসলাম রনিও দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো বিবৃতিতে একই দাবি জানিয়েছেন।