ফরিদপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসান সিদ্দিকী হেলালের বিরুদ্ধে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল বার্তা পাঠিয়ে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। উত্ত্যক্তের শিকার ওই নারী ঢাকায় বসবাস করেন। তবে তিনি পারিবারিক সূত্রে ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকার উপজেলা পাড়ার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে ওই নারী ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া তিনি এ বিষয়ে উত্ত্যক্তকারীর পাঠানো বার্তার স্ক্রিনশট স্থানীয় সংবাদকর্মীদের পাঠিয়েছেন।
এদিকে অধ্যক্ষ আবুল হাসান হেলাল এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে স্থানীয় সাংবাদিকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
উত্ত্যক্তের শিকার ওই নারী জানান, আবুল হাসান সিদ্দিকী হেলাল বেশ কিছুদিন আগে তার ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল বার্তা পাঠান। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে তিনি গুরুত্ব দেননি। কিন্তু এর কিছুদিন পরে আবারও অশ্লীল বার্তা পাঠান তিনি। এমনকি ওই অধ্যক্ষ কৌশলে মোবাইল নম্বর জোগাড় করে তাকে ফোন দিয়েও বিরক্ত করেন। তখন ওই নারী বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার তিনি এ বিষয়ে ফরিদপুর ইউনিয়ন টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলীর কাছে অভিযোগ করেন। পরে ওই অশ্লীল বার্তার স্ক্রিনশট স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছেও প্রেরণ করেন।
এদিকে ওই অধ্যক্ষকে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী ফোনে তার বক্তব্য জানতে চাইলে সংবাদ প্রকাশ করলে তাকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। এ বিষয়ে ওই সাংবাদিক ভাঙ্গুড়া থানায় একটি জিডি করেছেন।
ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী জানান, অধ্যক্ষ আবুল হাসান সিদ্দিকী হেলাল ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল বার্তা পাঠিয়ে একজন ভদ্র মহিলাকে উত্ত্যক্ত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিললে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।