নার্সিং পেশাকে ক্যাডারভুক্তিসহ ৪ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পুরানো কারিকুলাম বহাল রাখা,নার্সিং পেশাকে বিসিএস ক্যাডারভুক্তিসহ চার দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা। এসময় ইন্টার্ন ভাতা বাড়ানো ও নার্সিং কলেজকে পূর্নাঙ্গ কলেজে রূপান্তর করার দাবি ও জানিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ‘বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট নার্সেস এসোসিয়েশনের’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মমতা বানু দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, পুরাতন কারিকুলাম বহাল রেখে নতুন কারিকুলাম বাতিল করা, নার্সিং পেশাকে বিসিএস ক্যাডারভুক্ত করা, ইন্টার্ন ভাতা ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা, শিক্ষার্থী বৃত্তি ২ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা করা এবং নার্সিং কলেজকে পূর্ণাঙ্গ কলেজে রূপান্তর করাই তাদের মূল দাবি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আবুল বারাকাত দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে  জানান, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের জন্য কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু এ কারিকুলামটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোন প্রেক্ষিতে এ রকম কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে তা জানতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তাই, আমরা পুরানো কারিকুলাম বহাল রাখার দাবি জানিয়েছি আমরা। নতুন কারিকুলাম দিতে হলে তা রিভিউ করে প্রণয়ন করতে হবে।  তিনি আরও জানান, নার্সিং পেশোকে প্রোফেশনাল স্বীকৃতি হিসেবে বিসিএস সেবা ক্যাডার চালুর দাবি জানিয়েছি আমরা। এছাড়া ইন্টার্নদের ভাতা ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছি। 

এসময় ঢাকা নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী অন্তর বাবু দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, নার্সিং পেশাকে জনপ্রিয় করতে এবং ক্লিনিক্যান প্র্যাকটিসের মাধ্যমে হাসপাতাল  সেবা দেয়ায় শিক্ষার্থীদের ২ হাজার টাকা বৃত্তি বা স্টাইপেন্ড দেয়া হয়। সে ভাতা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করারর দাবি জানিয়েছি আমরা। এছাড়া আমাদের কলেজের শিক্ষকদের পদ স্থায়ী না। তাই ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মকর্তাদের দিয়ে কলেজ পরিচালিত হয়। তাই, শিক্ষক-ইনস্ট্রক্টরদের পদ সৃষ্টি করে নার্সিং কলেজগুলোকে পূর্ণাঙ্গ কলেজে রূপান্তরের দাবিও জানানো হয়েছে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028471946716309