হয়াতপুর দাখিল মাদরাসার সুপারকে নাশকতার মামলায় ফাঁসিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সহ-সুপার পদে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা না করাই এর কারণ বলে অভিযোগ। ঘটনাটি যশোরের মণিরামপুরের।
জানা যায়, মাদরাসাটির সহ-সুপার পদে নিয়োগের জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল গত ৩ মার্চ। সহ-সুপার পদের বিপরীতে আবেদন করেন আটজন প্রার্থী। কমিটি গঠনের মাধ্যমে আবেদনপত্রগুলো যাচাই-বাছাই শেষে পাঁচ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেকের পছন্দের প্রার্থী আব্দুল লতিফ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হন। সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে তিনি লতিফের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। লতিফকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য মাদরাসার সুপার কওছার আলীকে চাপ দেন তিনি।
কিন্তু সহযোগিতা না করায় সুপারের ওপর ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে গত ৪ জুলাই সুপারকে নাশকতার মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। পরে সুপারকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এই সুযোগে সভাপতি মাদরাসার সহকারী মৌলভি আব্দুর রাজ্জাককে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দিয়ে লতিফকে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ।
ভারপ্রাপ্ত সুপার রাজ্জাক জানান, গত রবিবার পত্রিকায় সহ-সুপার পদের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।