নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারান্ট। তার বিরুদ্ধে আদালতে ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একটি অভিযোগসহ মোট ৯২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে ট্যারান্ট। শুক্রবার (১৪ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ক্রাইস্টচার্চ কারাগার থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে কোর্টে হাজিরা দেয় ট্যারান্ট। এ বছরের ১৫ই মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজ চলার সময় চালানো ঐ হামলায় পাঁচজন বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়েছিলেন ।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডে এই প্রথম কারো বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হলো।
হামলা থেকে বেঁচে যাওয়াদের কয়েকজন এবং নিহতদের স্বজনেরা শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ট্যারান্টের আইনজীবী যখন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তার মক্কেলের দেয়া বিবৃতি পড়ে শোনান, আদালত কক্ষে তখন অনেকের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে ডুকরে কেঁদে ওঠেন।
বিচারক বলেছেন, আগামী বছরের ৪ঠা মে পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম চলবে, আর ১৬ই আগস্ট পরবর্তী শুনানির আগ পর্যন্ত কারাগারে ট্যারান্টের রিমান্ড চলবে। এপ্রিলে যখন ট্যারান্ট আদালতে হাজিরা দিয়েছিল, তখন তাকে মানসিক চিকিৎসা নেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আর তার সুস্থতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছেন বিচারক।
এর মধ্যে গত সপ্তাহে ট্যারান্টের ছবি প্রকাশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হামলার পরই গ্রেফতার হন ট্যারান্ট, এরপর ১৬ই মার্চ তাকে প্রথম আদালতে হাজির করা হয়। হামলার সময় মাথায় স্থাপন করা ক্যামেরা দিয়ে মসজিদে হামলার পুরো ঘটনা সরাসরি ইন্টারনেটে প্রচার করছিল ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ট্যারান্ট। ফুটেজে দেখা যায় সে দুটি মসজিদে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।