নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ব্রেনটন টারান্টকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ওই দিন তাকে দেশটির হাইকোর্টে হাজির করা হবে। শনিবার (১৬ মার্চ) তাকে দেশটির জেলা জজ কোর্টে তোলা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আদালতে যখন তাকে হাজির করা হয় তখন তার হাতে হ্যান্ডকাফ এবং পরনে জেলখানার কয়েদিদের শার্ট ছিল।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ব্রেনটন টারান্টকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ওই দিন তাকে দেশটির হাইকোর্টে হাজির করা হবে। শনিবার (১৬ মার্চ) তাকে দেশটির জেলা জজ কোর্টে তোলা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আদালতে যখন তাকে হাজির করা হয় তখন তার হাতে হ্যান্ডকাফ এবং পরনে জেলখানার কয়েদিদের শার্ট ছিল।
এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। আল নুর মসজিদ ও লিনউডের ওই মসজিদে হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত এবং ৪৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
২৮ বছর বয়সী হামলাকারী ব্রেনটন টারান্ট অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত। সে কয়েক বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করছে। সে একজন ডানপন্থী উগ্রবাদী সন্ত্রাসী।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন তার অস্ট্রেলীয় নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে সে যে একজন উগ্রবাদী মতবাদের সেটাও জানিয়েছেন স্কট।
শুক্রবার প্রথমে গাড়ি চালিয়ে আল নুর মসজিদের কাছে যায় ব্রেনটন। এর পর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মসজিদের দিকে যেতে থাকে। প্রথমেই মসজিদের প্রবেশ পথে একজনকে গুলি করে হত্যা করে। এর পর মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান থেকে এলোপাথারি গুলি চালায়। তার নির্বিচারে চালানো গুলিতে নামাজিরা লুটিয়ে পড়তে থাকে।
শুধু হামলাই চালায়নি উগ্রবাদী এ খ্রিস্টান সন্ত্রাসী। বরং মাথায় ক্যামেরা স্থাপন করে তার অপকর্মের পুরো ১৭ মিনিটের ভিডিও সরাসরি অনলাইনে প্রচার করেছে। যে ভিডিও বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের পুলিশ গতকাল জানিয়েছে, এ ঘটনায় তারা এ পর্যন্ত এক নারীসহ চারজনকে আটক করেছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। এ রকম হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল না তার দেশ। আটকদের বিরুদ্ধে আগে সন্ত্রাসের কোনো অভিযোগ ছিল না বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল থেকে জানা যায়, ব্রেনটন আগের দিন পুরো ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার হামলা চালায়। বৃহস্পতিবার উগ্রপন্থীদের একটি ওয়েবসাইটে সে বেনামে হামলার ঘোষণা দেয় এবং শুক্রবার হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের ছবিও পোস্ট করে।
এ সময় তার অনুসারীরা তাকে হামলায় উৎসাহ দেয়। সেই সঙ্গে তার ওই পোস্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয় অনুসারীরা।
কিন্তু এত কিছুর পরও নিউজিল্যান্ডের পুলিশ তাকে আটক করেনি। কারণ হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তার নাম ওয়াচলিস্টে ছিল না।