সন্তানের সঙ্গে ঈদ পালনের জন্য দীর্ঘ সাত বছর ধরে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন পিরোজপুর সদর উপজেলার খানাকুনিয়ারি গ্রামের এক মমতাময়ী মা। প্রতিবারের মতো এ বছরও তিনি অপেক্ষায় আছেন সন্তানের অপেক্ষায়। অপেক্ষা শেষ হবে কিনা তা নিয়েই চিন্তার ভাঁজ মায়ের কপালে।
শনিবার (০১ জুন) পিরোজপুর প্রেসক্লাবে আসেন ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে নিখোঁজ হওয়া কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আল মুকাদ্দাসের মা। মুকাদ্দাস পিরোজপুর সদর উপজেলার খানাখুনিয়ারীর মাওলানা আব্দুল হালিমের বড় ছেলে।
সাংবাদিকদের হতভাগা ওই সন্তানের মা জানান, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেরুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকাহ্ বিভাগের এলএলবি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আল মুকাদ্দাস ও তার বন্ধু ওয়ালীউল্লাহকে ঢাকার সাভার নবীনগরে র্যাব-৪ এর চেকপোস্টের সামনে হানিফ পরিবহন থেকে র্যাব পরিচয়ে নামিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মুকাদ্দাস ও তার বন্ধু ওয়ালীউল্লাহর আর কোনো খোঁজ মেলেনি।
র্যাবের কাছে বারবার গিয়েও ছেলেকে পাওয়ার কোনো আশ্বাস মিলছে না। মুকাদ্দাসের মা ঈদের আগে ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্যে সাংবাদিকদের সামনে আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিখোঁজ মুকাদ্দাসের মা এ সময় বলেন, সেদিন রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী হানিফ পরিবহনের ৩৭৫০ নং এর সি-১ নং সিটে করে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। সাভারের নবীনগরে স্থাপিত র্যাব ক্যাম্পের সামনে বাসটি থামিয়ে সাদা ও কালো পোশাকধারী ৮/১০ জন লোক মুকাদ্দাস ও তার বন্ধুকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তারা র্যাব-৪ ও ডিবি পরিচয় দেয়, যা পরে ওই বাসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ মাসুম মুকাদ্দাসের মাকে এ খবর জানায়। এ ঘটনায় ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দারুসসালাম থানা ও আশুলিয়া থানায় দুইটি জিডি করা হয়।