করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামে দু-একটি রুম ভাড়া নিয়ে চলছে এই শিক্ষা বাণিজ্য। আর এসব অবৈধ কর্মযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্কুল শিক্ষকসহ কলেজ পড়ুয়ারা ব্যাচের মাধ্যমে কোচিং করাচ্ছে। তারা ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ব্যাগ ব্যবহার করতে নিষেধ করছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বই বহন করতে শপিং ব্যাগ বা বাজারের ব্যাগ ব্যবহার করছে।
কলেজ পড়া এক শিক্ষার্থী টিটু বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। আমি নিয়মিত ব্যাচের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী পড়াতাম। কিন্তু এখন তা পারি না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুর্তজা আল মুঈদ বলেন, ‘নিরাপদ দূরত্ব না মেনে বা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক না পরায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অনেক জায়গায় আমরা জরিমানা করে আসছি। বেশ কয়েকজন শিক্ষক আমার কাছে পড়ানোর অনুমতির জন্য আসছিলেন। কিন্তু আমি তাঁদের অনুমতি দেইনি।’