রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে ভুয়া ভোট প্রদান, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকাসহ নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত একাধিক প্রার্থী। এ অভিযোগে ভিকারুননিসার অ্যাডহক কমিটির প্রধান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নাজমুল হক খানের পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রার্থীরা তারা। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুন বাগিজার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ সুজন, মীর মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন টিপু, জেসমিন আক্তার, এডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ ও নাছিমা আক্তারসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার নির্বাচনের ফল ঘোষণা, বাতিলে আদালতে যাবেন সংক্ষুব্ধরা
এদিকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে বিজয়ী নয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিজয়ী প্রার্ধীদের মধ্যে সাধারণ অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখায় গোলাম বেনজীর, মাধ্যমিক শাখায় সিদ্দীকি নাসিরুদ্দীন ও ওহেদুজ্জামান, কলেজ শাখা থেকে এবিএম মনিরুজ্জামান ও মুরশীদা আক্তার এবং অভিভাবকদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে অ্যাড. রিনা পারভিন বিজয়ী হয়েছেন।
শিক্ষকদের মধ্য থেকে তিনজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে বাদরুল আলম, মাধ্যমিকে ফাতেমা জহুরা হক ও জান্নাতুল ফেরদৌস। এসব পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তবে কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি ও সংরক্ষিত নারী শিক্ষক প্রতিনিধি পদে একজন করে প্রার্থী হওয়ায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন প্রার্থী। তাদের অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা দিয়ে গভর্নিং বডির নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তা সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হলেও তা করা হয়নি। এ কারণে দুই হাজার ১০০ জন অভিভাবক ডাবল ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
তারা জানিয়েছেন, কলেজ থেকে সকল ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় অনেকে ভোটার স্লিপ পাননি। অনেকে আবার ভোটার স্লিপ না আনায় তাদের ভোট প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়নি। অথচ তাদের নামে ভুয়া ভোট দেয়া হয়েছে। একজন প্রার্থীর কাছে এমন একাধিক ভুয়া স্লিপ পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের সুস্পষ্ট জবাব চাইলে তারা দিতে পারেনি। অভিযোগকারীরা লিখিতভাবে কলেজ অধ্যক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচন বাতিল দাবিতে তারা মামলাও করবেন বলেও জানা গেছে।