নির্বাচনের আগেই প্রাথমিক শিক্ষার সকল বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষার বিশাল অর্জনের পরও কিছু বৈষম্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো নির্বাচনের আগেই দূর করার আহ্বান জানানো হয়।
দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো বিবৃতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচির সাথে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সূচির ব্যবধান নিরসন, সব শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন সময়সূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি, প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের সাথে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করা, প্রধান শিক্ষকের ২য় শ্রেণির স্কেল ১০ম ও সহকারী শিক্ষকের ১১তম গ্রেডে বেতন স্কেল উন্নীত করা, প্রাথমিক শিক্ষকদের ননভ্যাকেশনাল কর্মচারী ঘোষণা, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজস্ব ক্যাডার সার্ভিস প্রণয়ন, বিদ্যালয়ওয়ারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ, সকল শিক্ষককে ১ম শ্রেণির মর্যাদার দেয়া, জাতীয় দিবসসহ বিশেষ দিবসে বিদ্যালয় খোলা রাখার ছুটি সমন্বয় করে গ্রীষ্মের ছুটি কমপক্ষে ১৫ দিন করা, প্রাথমিক শিক্ষকদের সরকারি কর্মচারীর মতো ৩ বছর অন্তর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান, চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষকদের বিধি মোতাবেক ভাতা প্রদান, কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়গুলোকে সহজ শর্তে রেজিস্ট্রেশন করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এনে শিশু শিক্ষার বৈষম্য দূর করা, দপ্তরি কাম প্রহরীদের রাজস্ব খাতে আনাসহ প্রাথমিক শিক্ষার সকল বৈষম্য দূর করার দাবি জানানো হয়।
দৈনিকশিক্ষায় পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষার কারণে ৩০ নভেম্বরের বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর সমাধি জিয়ারত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।