নিয়ন্ত্রণহীন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, নির্বিকার সরকার

শরীফুল আলম সুমন |

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো নিয়ে পুরোপুরি নির্বিকার সরকার। এ সুযোগে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে এসব স্কুল। বছর বছর তারা বাড়িয়ে চলেছে সেশন চার্জ, টিউশন ফি। এ ব্যাপারে সরকারের যথাযথ নীতিমালা না থাকায় স্কুলগুলোকে কেউ চাপও দিতে পারছে না। প্রতিষ্ঠান খোলা কিংবা বন্ধ রাখাসহ সব সিদ্ধান্তই স্কুল কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে ইচ্ছামাফিক। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে দুজন ছিল ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনার পর নিরাপত্তার অজুহাতে ইংরেজি মাধ্যমের অনেক স্কুলের কর্তৃপক্ষ দীর্ঘসময় ধরে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে। এ ঘটনায় তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিষয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও ফের সব কিছু আগের মতোই চলছে। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সুনির্দিষ্ট বক্তব্য থাকলেও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল নিয়ে দায়সারা ভাব রয়েছে। এমনকি ২০১৩ সালে হাইকোর্ট নতুনভাবে নীতিমালা করার নির্দেশ দিলেও গত তিন বছরেও তা করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দেশে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ১৫৯টি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নিবন্ধন রয়েছে। তাতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৫০৭ জন। এর মধ্যে ‘ও’ লেভেলের স্কুল ৬৪টি, ‘এ’ লেভেলের ৫৪টি এবং জুনিয়র লেভেলের স্কুল ৪১টি। তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড নিবন্ধন দিয়েছে ১০২টি স্কুলের। বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৩৫০টি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখের ওপরে। তবে বাস্তবে এমন স্কুলের সংখ্যা আরো বেশি বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনাই নেই সরকারের। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে বিনা মূল্যে বই দেয় সরকার। রয়েছে উপবৃত্তিসহ নানা সুবিধা।

বসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গা থাকলে ভবনও করে দেয় সরকার। কিন্তু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সরকার কোনো সুবিধা না দিলেও উল্টো তাদের টিউশন ফির ওপর ভ্যাট বসানো হয়েছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে সরকারের কোনো অবদান না থাকলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর। তাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে ও একই নিয়মে পরিচালনা করতে হবে।

অভিযোগ রয়েছে, যথাযথ নীতিমালা না থাকায় ইচ্ছামতো বেতন ও ফি বৃদ্ধি করছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক হলেও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ভাড়া বাড়িতে এ ধরনের স্কুল প্রতিষ্ঠার সুযোগ না থাকলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই চলছে ভাড়া করা জায়গায়। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে পড়াতে গিয়ে অভিভাবকরা নানা বাধার সম্মুখীন হলেও শিক্ষা প্রশাসন কোনো দায়িত্ব না নেওয়ায় তাঁরা প্রতিকারও চাইতে পারছেন না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘অনেক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কোনো অনুমোদনই নেই। তবু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে নীতিমালা ও শিক্ষা আইন দরকার। দুটি বিষয়ই ঝুলে আছে। ইদানীং অভিভাবকদের মধ্যে সন্তানদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানোর প্রবণতাও বেড়েছে।

সেই সুযোগে যত্রতত্র স্কুল গড়ে উঠছে। তাদের বেশির ভাগই ব্যবসা করছে। তাই সরকারের উচিত এ ধরনের স্কুলগুলো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। প্রয়োজনে সরকারও তাদের কন্ট্রিবিউট করতে পারে। বেসরকারি স্কুলের জমি থাকলে তাদের ভবন করে দেওয়া হয়। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলেও সেই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই স্কুলগুলোতে অ্যাডেক্সেল বা ক্যামব্রিজের পাশাপাশি বাংলাও থাকতে হবে। কারিকুলামে পার্থক্য রাখলেও অন্য স্কুলগুলোর মতোই একই নিয়মে চালাতে হবে এই স্কুলগুলো।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর জন্য নীতিমালা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নীতিমালা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেন। সে সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তখনকার যুগ্ম সচিব এ এস মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নীতিমালা তৈরির জন্য কমিটি গঠন করা হয়। এ এস মাহমুদ এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি বছরই তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তিন বছর পার হলেও এই কমিটি এখনো নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা বলেন, ‘ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। আমরা এটা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। তারা কিছু পরিমার্জন করতে বলেছে। সেগুলোর কাজও শেষ। আমরা দ্রুততার সঙ্গে তা আবারও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তাদের মতামতের পর পরিপত্র আকারে নীতিমালা জারি করা হবে। নতুন নীতিমালায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশের পর মন্ত্রণালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের জন্য দ্রুততার সঙ্গে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে দেয় বোর্ড, যা আদালতেও জমা দেয় মন্ত্রণালয়। সেই খসড়া নিয়ে পরে কয়েকটি বৈঠক ও একটি কর্মশালাও হয়েছে। এখন খসড়াটি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

খসড়ায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ৭০০ জন বা তার বেশি শিক্ষার্থী, মানসম্মত শিক্ষক, শিক্ষা উপযোগী অবকাঠামোসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা থাকলে তা ‘এ’ শ্রেণিতে পড়বে। এসব স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও সেশন ফি মহানগরে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা এবং মহানগরের বাইরে ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। মহানগর এলাকায় বেতন তিন হাজার ও মহানগরের বাইরে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। ৪০০ থেকে ৭০০ শিক্ষার্থী থাকলে তা ‘বি’ শ্রেণিতে পড়বে।

মহানগর এলাকার এই শ্রেণির স্কুলগুলোর জন্য ভর্তি ও সেশন ফি ১৮ হাজার টাকা এবং মহানগরের বাইরে সাত হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। বেতন মহানগর এলাকায় দুই হাজার ও মহানগরের বাইরে ধরা হয় সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা। ৪০০ জনের নিচে শিক্ষার্থী থাকলে তা ‘সি’ শ্রেণিতে পড়বে। মহানগর এলাকার এই শ্রেণির স্কুলগুলোর জন্য ভর্তি ও সেশন ফি আট হাজার এবং মহানগরের বাইরে সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর মহানগর এলাকায় সর্বোচ্চ বেতন দেড় হাজার ও বাইরে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নীতিমালায় ভর্তি ফরমের মূল্য মহানগর এলাকায় সর্বোচ্চ ৫০০ এবং অন্যত্র সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা রাখার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে শূন্য আসনের ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণের কথা বলা হয়। নির্ধারিত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত আদায় করলে নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ রাখা হয় খসড়ায়।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘অনুমোদন ছাড়া কোনো স্কুল চলতে পারবে না। এখন যে নীতিমালা আছে তার আলোকেই নিবন্ধিত হতে হবে। যেসব স্কুলের অনুমোদন নেই সেগুলোর ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আমরা তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছি। শিগগির তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন নীতিমালা তৈরির কাজও চলছে। তা চূড়ান্ত হলে সেই অনুযায়ী বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলোর মতোই আমরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেব।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খসড়া নীতিমালায় অনুমোদন না থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিলের কথা বলা হয়েছে। বাস্তবে বেশির ভাগ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলেরই অনুমোদন নেই। সে ক্ষেত্রে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে কিভাবে?

বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ও কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘নীতিমালা থাকা ভালো। কিন্তু তা অবশ্যই আমাদের সঙ্গে নিয়ে করতে হবে। নীতিমালা বাস্তবসম্মত হতে হবে। একটি স্কুল যে পরিমাণ ফি নেয় সেভাবেই তাদের ব্যয় নির্বাহ করে। এখন নীতিমালায় যদি ফি পাঁচ গুণ কমিয়ে দেওয়া হয় তাহলে স্কুলটি কিভাবে নীতিমালা মানবে? এই স্কুলগুলোতে বাংলাদেশি ছেলেমেয়েরাই পড়ালেখা করে। বাংলাদেশের কৃষ্টি, সমাজ, মূল্যবোধ ধারণ করে। তাই আমরাও সরকারের নিয়মনীতির মধ্যেই থাকতে চাই।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ‘রেজিস্ট্রেশন অব প্রাইভেট স্কুলস অর্ডিন্যান্স-১৯৬২’-এর অধীন ২০০৭ সালে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু ওই নীতিমালা যথাযথ ছিল না। বেতন-ভাতার ব্যাপারে তেমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। মূলত এই নীতিমালার আলোকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। প্রথমে দুই বছরের জন্য সাময়িক অনুমোদন দেওয়ার বিধান রাখা হয়।

এরপর প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও মান যাচাই করে প্রয়োজনে আরো দুই বছর বা পাঁচ বছরের সাময়িক নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়। স্থায়ীভাবে এসব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়নি। পাঁচ বছর পর পর স্কুলের কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন প্রণয়নের বিধান রয়েছে। তবে ভাড়া বাড়িতে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্রতিষ্ঠার সুযোগ রাখা হয়নি।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-কে এখন পর্যন্ত শিক্ষায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নিয়ে তাতে খুবই সংক্ষিপ্ত কথা বলা হয়েছে। শিক্ষানীতিতে বলা হয়, ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যক্রম, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন যেহেতু বিদেশি ধারায় হয় সেহেতু একে বিশেষভাবে গণ্য করা হবে। সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে এই শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হবে।

২০১৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় ‘ও’ ও ‘এ’ লেভেলে সাধারণ ধারার সমপর্যায়ের বাংলা ও বাংলাদেশ স্টাডিজ পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ দুটি বিষয় পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্তি সাপেক্ষে ‘ও’ লেভেল উত্তীর্ণকে এসএসসি এবং ‘এ’ লেভেল উত্তীর্ণকে এইচএসসির সমমান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি সব স্কুলকেই দেশের সব জাতীয় দিবস যথাযথভাবে উদ্যাপন এবং সব ধরনের অপসংস্কৃতিচর্চা পরিহারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, অনেক স্কুল এই নির্দেশনা পালন করছে না।

সূত্র জানায়, খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখার সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগের অবহেলায়ই নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে না। আবার নীতিমালা চূড়ান্ত না করার পেছনে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপও রয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধন নিতে হলে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হবে, তাই স্কুলগুলোও নিবন্ধন এড়িয়ে চলছে।

জানা যায়, নীতিমালা না থাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো বছর বছর বাড়িয়ে যাচ্ছে টিউশন ফি ও সেশন ফি। ভালো মানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তিতে দেড় থেকে চার লাখ টাকা লাগে। আর স্কুলভেদে মাসিক বেতন আট থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। দু-তিনটি স্কুলে এর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি বেতন ও সেশন ফি আদায় করা হয়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকরা আন্দোলন করলেও তাতে কান দেয় না স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিভাবকদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আমিনা রত্না বলেন, ‘বছর শেষেই স্কুলগুলো তাদের ইচ্ছামতো বেতন ও ফি বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকার তার সঙ্গে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট যোগ করেছে। অথচ কেউ চিন্তা করছে না এখন মধ্যবিত্তের সন্তানরাই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ছে। আমাদের কোনো অসন্তোষ বা দাবি থাকলে কার কাছে বলব?

স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো কথা শোনে না। আর শিক্ষা প্রশাসন তো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলকে স্বীকারই করে না। আমাদের দাবি থাকবে, সরকার যেন অন্য মাধ্যমের শিক্ষার মতোই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলকে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি - dainik shiksha পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031368732452393