নীতিমালা শিথিল করে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

গত বুধবার সারাদেশের দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ায় শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট মহলগুলোতে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তাতে দেখা গেছে, যোগ্যতায় না টিকলেও উপজেলাভিত্তিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে সারাদেশের দুইশটির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে 'এমপিওভুক্তির নীতিমালা-২০১৮' শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নীতিমালার ২২ নম্বর ধারায় এ সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক কোনো বিবেচনা স্থান না পাওয়ায় কেবল বগুড়া জেলাতেই প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে এমপিওভুক্তিতে। স্থান পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিও। আবার স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাও স্থান পেয়েছে এমপিওর তালিকায়।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সারাদেশের মোট ৮৯টি উপজেলা ও থানা থেকে একটি প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির জন্য কাম্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সামঞ্জস্য বিধানের জন্য এমপিও নীতিমালা ২০১৮-এ ২২ ধারা প্রয়োগ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছে, শিক্ষায় অনগ্রসর, ভৌগোলিকভাবে অসুবিধাজনক, পাহাড়ি, হাওর-বাঁওড়, চরাঞ্চল, নারীশিক্ষা, সামাজিকভাবে অনগ্রসর গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় শর্ত শিথিল করা যেতে পারে। ৮৯টি উপজেলায় শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০০ জন এবং স্বীকৃতির মেয়াদ দুই বছর বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ৫৮টি প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হয়। বাকি ৩১টি উপজেলা থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আবেদনই করেনি বলে বিবেচনা করতে পারেনি।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ১৭৭টি উপজেলা থেকে একটি করে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য কাম্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সামঞ্জস্য বিধানের জন্য এমপিও নীতিমালা ২০১৮-এর ২২ ও ৩৫/৩৬ ধারা প্রয়োগ করে শিক্ষা উপজেলা বা থানায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ৫৪টি কারিগরি ও ৪৫টি মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের দুর্গম অঞ্চল হাওর-বাঁওড়, চরাঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা এবং উপকূলীয় এলাকার যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০০ বা তদূর্ধ্ব এবং স্বীকৃতির মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছর পূর্ণ হয়েছে, এমন ৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নীতিমালা ২২ অনুযায়ী এমপিও দেয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) এক হাজার ৯৬৭টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে ৪৩৯টি এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) ১০৮টি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় (নবম থেকে দশম শ্রেণি) ৮৮৭টি স্কুল এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ স্তরে এক হাজার ৭৩৯টি প্রতিষ্ঠান

আবেদন করেছিল। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ) ৩৩৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে ৬৮টি এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। কলেজ (একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) ৫৪৪টি আবেদন করে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে ৯৩টি প্রতিষ্ঠান। ডিগ্রি কলেজ (স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ) ৫৫৫টি আবেদন করলেও ৫৬টি এমপিভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, ৬০০ নতুন স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্তর পরিবর্তন তথা যেসব স্কুল নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের এমপিওভুক্ত ছিল, সেগুলো মাধ্যমিক (নবম ও দশম শ্রেণি) স্তরে এমপিভুক্ত করা হয়েছে।

গত বছর ৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি করা বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া হয়। এমপিওভুক্তির নীতিমালা-২০১৮ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী, চারটি মানদণ্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাচাই করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা হিসেবে প্রতিষ্ঠানের বয়স বা সরকারি স্বীকৃতি ২৫ নম্বর, শিক্ষার্থীর সংখ্যার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বর, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ নম্বর এবং পাসের হারে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হয়। সেখানে কমপক্ষে ৭০ নম্বর পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য বলে এবার বিবেচিত হয়েছে। এমপিও নীতিমালা-২০১৮তে এমপিওভুক্তির জন্য পাঁচটি স্তর নির্ধারণ করা হয়। স্তরগুলো হলো- নিম্ন মাধ্যমিক (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম), মাধ্যমিক (নবম থেকে দশম), উচ্চ মাধ্যমিক (ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ), কলেজ (একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি), স্নাতক (পাস) তথা ডিগ্রি কলেজ (একাদশ থেকে মাস্টার্স)।

এমপিওভুক্তির জন্য এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মোট আবেদন জমা পড়েছিল ছয় হাজার ১৪১টি।

শীর্ষ শিক্ষক নেতাদের প্রতিষ্ঠানও এমপিও পায়নি: এমপিওভুক্তির দাবিতে কয়েকবছর ধরে রাজপথে আন্দোলন করে আসা 'নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের' শীর্ষ নেতাদের কারও প্রতিষ্ঠানই এবার এমপিও পায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত খুলনা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ। আবেদন করেও প্রতিষ্ঠানটি এবার এমপিও পায়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিওভুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ প্রতিষ্ঠানটিতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, পরীক্ষার্থীও নেই। পাবলিক পরীক্ষার ফলও ভালো নয়। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায় বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ। এটিও এমপিও পায়নি। কর্মকর্তারা জানান, এ কলেজের ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের পাসের হার ৭০ শতাংশের নিচে। ফেডারেশনের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির নেতাদের মধ্যে এমপিওভুক্তি পেয়েছে চার নেতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংগঠনের প্রচার সম্পাদক তোরাব আলী ফিরোজের প্রতিষ্ঠান খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বারআড়িয়া শহীদ স্মৃতি কলেজ, বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী সোহরাব হোসেনের মাদরাসা বাবুগঞ্জ রাকুটিয়া দাখিল মাদরাসা, রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক শওকত হায়াত প্রধান বাবুর পাটগ্রাম বিএম কলেজ ও সংগঠনের সহসভাপতি আবদুল হামিদের রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল এমপিও পেয়েছে।

এমপিও পেল হুমায়ূন আহমেদের স্কুল :আমাদের কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এমপিওভুক্তির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এ বিদ্যাপীঠ এমপিও পেয়েছে। এমপিওভুক্ত হওয়ায় ঢাকঢোল বাজিয়ে, মিষ্টি বিতরণ করে এবং ছাত্র-শিক্ষকরা রং খেলার মধ্য দিয়ে আনন্দ-উল্লাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নেত্রকোনা-৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিলের প্রতিও। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান কুতুবপুর গ্রামে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় এর একাডেমিক কার্যক্রম। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রতিটি ফলে শতভাগ পাস করেছে শিক্ষার্থীরা। জিপিএ ৫ পেয়েছে অনেকেই। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ায় হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নপূরণ হলো।

টাকা থাকলেও পাওয়া যায়নি যোগ্য প্রতিষ্ঠান: 

চলতি অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে এমপিওভুক্তির জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ থাকার পরও যোগ্য প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে, স্কুল ও কলেজের জন্য যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, এর প্রায় অর্ধেক টাকা থেকে গেছে।

চলতি অর্থবছরে স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ ছিল ৮৬৫ কোটি টাকা। কিন্তু এমপিও পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল ও কলেজের সংখ্যা এক হাজার ৬৫১। তাদের পেছনে বছরে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। যোগ্য প্রতিষ্ঠান না পাওয়ায় ৪১৪ কোটি টাকা ব্যবহার করতে পারল না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগে এক হাজার ৭৯টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে বছরে ব্যয় হবে ৪৩০ কোটি টাকা। আর এই বিভাগে এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ ছিল ২৮২ কোটি টাকা। বাকি ১৪৯ কোটি টাকা চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ সাপেক্ষে সমন্বয় করা হবে বলে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগকে একত্র করে ধরা হলে এমপিওভুক্তির জন্য মোট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর যে পরিমাণ যোগ্য প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেছে তাদের পেছনে বছরে ব্যয় হবে ৮৮১ কোটি টাকা। আর ২৬৬ কোটি টাকা অব্যয়িত থাকবে।


এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী, একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি পেতে প্রধান চারটি শর্ত রাখা হয়েছে। এই চারটি শর্তের জন্য রাখা হয়েছে ১০০ নম্বর। একাডেমিক স্বীকৃতির তারিখের জন্য রাখা হয়েছে ২৫ নম্বর। প্রতি দুই বছরের জন্য ৫ নম্বর এবং ১০ বা এর চেয়ে বেশি বছর হলে পাবে ২৫ নম্বর। শিক্ষার্থী সংখ্যার জন্য ২৫ নম্বর। আর শিক্ষার্থীর কাম্য সংখ্যা থাকলে ওই প্রতিষ্ঠান পাবে ১৫ নম্বর। এরপর ১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য ৫ নম্বর। পরীক্ষার্থী এবং উত্তীর্ণের সংখ্যায়ও একইভাবে নম্বর বণ্টন করা হয়েছে।

কাম্য যোগ্যতা পূরণ করতে নীতিমালা অনুযায়ী, সহশিক্ষা ও বালক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ২০০, মফস্বলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিকে শহরে ৩০০, মফস্বলে ২০০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। স্কুল অ্যান্ড কলেজে শহরে ৪৫০, মফস্বলে ৩২০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২০০, মফস্বলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। স্নাতক পাস কলেজে শহরে ২৫০, মফস্বলে ২০০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। আর প্রতিটি শ্রেণির পরীক্ষায় শহরে ৬০ জন, মফস্বলে ৪০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ হতে হবে।

একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে এক হাজার ৯৬৭ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুই হাজার ৭৩৯ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৩৬ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫৪৪ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও ৫৫৫টি ডিগ্রি কলেজের আবেদন পড়েছিল। মোট স্কুল ও কলেজের আবেদন পড়েছিল ছয় হাজার ১৪১টি। এর মধ্যে এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে এক হাজার ৬৫১টি। বাকি চার হাজার ৪৯০টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিওভুক্তিকরণ নথিতে লেখা হয়েছে, যেহেতু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ৪১৪ কোটি টাকা অবশিষ্ট আছে, তাই এই অর্থ দিয়ে আবার যাচাই-বাছাই করে চলতি অর্থবছরেই আবারও এমপিওভুক্ত করা সম্ভব। নথির কপি দৈনিক শিক্ষার হাতে রয়েছে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045781135559082