ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যার অন্যতম আসামি মহিউদ্দিন শাকিল এখনও ধরা পড়েনি। শাকিল ছাড়া ১৬ আসামির সবাই গ্রেফতার হয়েছেন। শাকিল গ্রেফতার হলেই পিবিআই অভিযোগপত্র দেবে বলে জানা গেছে।
নুসরাত হত্যা মামলায় সোনাগাজী থানার পুলিশ রহস্যজনক আচরণ করছিল। বিশেষ করে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন একে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে ১০ এপ্রিল তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআইকে। দায়িত্ব নেওয়ার ৪০ ঘণ্টার মধ্যেই পিবিআই অন্যতম প্রধান দুই আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীমকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করে। এরপর এই মামলার জট খুলে যায়। একে একে গ্রেফতার হন প্রায় সব আসামি।
পিবিআই জানায়, নুসরাত খুনের নির্দেশদাতা, অর্থদাতা, পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী, সহযোগী, আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতাদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ১৬ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ১৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন। বাকি একজনের নাম তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না।
নুসরাত খুনের পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া শামীম ও নুর উদ্দিন জবানবন্দি দেন। ১৪ এপ্রিল দেওয়া জবানবন্দিতে উঠে আসে হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডের দিন পাহারার দায়িত্বে ছিলেন শাকিল।
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, নুসরাত হত্যা মামলায় সন্দেহভাজনসহ মোট ২০ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। ইতোমধ্যে আট আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।