ফেনীর আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ম দিনে নির্ধারিত দুজনের মধ্যে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান সাক্ষ্য উপস্থাপন করলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। একপর্যায়ে সোমবারের কর্মদিবস শেষ হয়ে যাওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সোনাগাজী বাজারের ফার্মেসি দোকানদার জহিরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি থেকে যাওয়ায় তা মঙ্গলবার (৯ জুলাই) হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার পর এ মামলার অভিযুক্ত ১৬ আসামিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফেনীর কারাগার থেকে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করা হয়। মঙ্গলবার ফার্মেসি দোকানদার জহিরুল ইসলামসহ হল পরিদর্শক মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলছে। এ নিয়ে হত্যা মামলার ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু বলেন, এ পর্যন্ত ৯ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। আজ নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান আদালতে সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেছেন। তিনি আদালতে ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজের যৌন হয়রানী ও ৬ এপ্রিলের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। মঙ্গলবার সোনাগাজী বাজারের ফার্মেসি দোকানদার জহিরুল ইসলাম এবং ৬ এপ্রিল সোনাগাজী মাদরাসায় পরীক্ষার হল পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। পরে রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠী নাসরিন সুলতানা, মাদরাসার পিয়ন নুরুল আমিন নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন ও দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।
অন্যদিকে মঙ্গলবার একই আদালতে নুসরাতকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় করা মামলাটির পিবিআইর করা তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।