ফেনীর আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় রোববার প্রথম ও দ্বিতীয় সাক্ষী নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানা ফুর্তিকে আবারও জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ৮৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হওয়ার পর তাদের ফের জেরা করা হলো। এ ছাড়া আসামিপক্ষ মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারকেও সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির ও জেরার আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহাম্মদ বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান এবং পুলিশের উপমহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদারকে আদালতে হাজির করতে একটি পিটিশন আদালতে জমা দেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। গতকাল দুপুরে এ বিষয়ে শুনানির পর আদালত তা খারিজ করে দেন।
এর আগে মামলার প্রথম ও দ্বিতীয় সাক্ষী নুসরাতের সহপাঠী নিশাত ও ফুর্তিকে গত ৩০ জুন ও ১ জুলাই দীর্ঘ জেরা করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর ৮৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। কিন্তু আবারও প্রথম দুই সাক্ষীকে জেরা করার জন্য গতকাল আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ তা অনুমোদন করেন। ফলে গতকাল রোববার তাদের ফের জেরা করা হয়।
পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এবার মামলার বাদী নিহত নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলমকে আবারও জেরা করতে চান বলে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে এ দুজনকে হাজির হতে বলেছেন।