নুসরাত হত্যা : সাবেক তদন্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় সোমবার (১৯ আগস্ট) স্বাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজীর মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কামাল হোসেন। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে তার স্বাক্ষ্য অনুষ্ঠিত হয়। 

আদালত ২০ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার কামাল হোসেনকে আসামি পক্ষের ১৬ আইনজীবী জেরা করবেন।   

স্বাক্ষ্য প্রদানে কামাল হোসেন জানান, তিনি ৬ তারিখে ঘটনাটি শুনার পর সাথে সাথে মাদরাসা কেন্দ্রে যান। সেখান থেকে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নুসরাতকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। সেখান থেকে আবার মাদরাসায় গিয়ে মাদরাসাকে রেকি করেছেন। ৮ তারিখে মামলা হওয়ার পর ৯ জনকে গ্রেফতার করেছেন। তাদের মধ্যে ২জন এজহার নামীয়। ১০ তারিখে মামলাটি পিবিআইর হাতে নেস্ত হওয়ার পর তিনি মামলার নথি পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করেছেন। 

এ পর্যন্ত এ মামলায় ৮৬ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে মামলার ১৬ আসামিকে জেলা কারাগার থেকে বেলা ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করা হয়।  

প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ আনেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে নুসরাতকে কৌশলে ডেকে পাশের ভবনের তিন তলার ছাদে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করে নুসরাত।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032460689544678