২ আসামির জবানবন্দিনুসরাতের হাত-পা বাঁধে মণি, কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় জাবেদ

ফেনী প্রতিনিধি |

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত কামরুন্নাহার মণি ও জাবেদ হোসেন নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়ে জবানবন্দিতে তারা বলেছে, সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে আনার পর রাফির হাত-পা বাঁধে মণি। আর দিয়াশলাই দিয়ে তার (রাফি) শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় জাবেদ।

শনিবার সন্ধ্যায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সরাফ উদ্দিনের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মণি ও জাবেদ পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ নিয়ে রাফি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ২১ আসামির মধ্যে ৭ জন জবানবন্দি দিল।

জবানবন্দিতে মণি জানায়, সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে কৌশলে রাফিকে ডেকে আনে উম্মে সুলতানা পপি। সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় রাফির মুখ চেপে ধরে শাহাদাত হোসেন শামীম।

ওড়না দিয়ে বুক চেপে ধরে উম্মে সুলতানা পপি। রাফির হাত-পা ওড়না দিয়ে বাঁধে মণি। রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় জোবায়ের। রাফির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় জাবেদ। তারপর তারা স্বাভাবিকভাবে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসে।

পপি ও সে (মণি) স্বাভাবিকভাবে হলে গিয়ে আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে তারা স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফেরে। এছাড়া জাবেদও তার জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে, পুরো শরীরে কেরোসিন ঢালার পর দিয়াশলাই দিয়ে রাফির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সে (জাবেদ)।

এদিকে রাফি হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিনকে শনিবার ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। এদিন সন্ধ্যায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সরাফ উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রাফি হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছিল রুহুল আমিন। পরে আদালতে হাজির করা হলে সে জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআই ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৫ দিন মঞ্জুর করেন আদালত।

রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার সময় আসামি জোবায়ের আহমেদ যে বোরকা পরেছিল, সেটি একটি খাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনীর সোনাগাজী পৌর এলাকার কলেজ রোডের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের ডাঙ্গিখাল থেকে বোরকাটি উদ্ধার করা হয়। রাফি হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা এজাহারভুক্ত আসামি জোবায়েরকে নিয়ে পিবিআই এ অভিযান চালায়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বোরকাটি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত বলে মন্তব্য করেছে তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া রাফি হত্যার ঘটনায় শনিবার রাঙ্গামাটি থেকে ইফতেখার উদ্দিন রানা এবং কুমিল্লা থেকে এমরান হোসেন মামুন নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। রাফি হত্যার পরিকল্পনা করতে মাদ্রাসার হোস্টেলে যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে রানা উপস্থিত ছিল। রাফি হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হল।

মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেফতারের পাশাপাশি কয়েকজন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এ মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হবে।

এদিকে রাফি হত্যার ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে পুলিশ সদর দফতর থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি ৫-৬ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। এরই মধ্যে ফেনী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত কমিটি। মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম শেষ করে তদন্ত কমিটি শনিবার দুপুরে ফেনী থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে। পুলিশ সদর দফতরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

রাফি হত্যার ঘটনায় অবৈধ লেনদেনের তথ্য পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি। চলতি সপ্তাহেই সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করবে। তথ্যপ্রমাণ পেলেই মানি লন্ডারিং আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করবে সিআইডি।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম শনিবার নিজ কার্যালয়ে বলেন, রাফি হত্যার ঘটনায় অবৈধ লেনদেনের তথ্য আমরা পেয়েছি। এখন এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যেভাবে বোরকা উদ্ধার : পিবিআই জানায়, মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি জোবায়ের আহমেদকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, রাফির গায়ে আগুন দেয়ার পর সে পালিয়ে যায়। তার পরনের বোরকাটি সে সোনাগাজী ডাঙ্গিখালে ফেলে দেয়।

তার দেখানো মতে, ডাঙ্গিখাল থেকে বোরকাটি উদ্ধার করা হয়। এ বোরকাটি হত্যা মিশনে অংশ নেয়া কামরুন্নাহার মণি তাকে দিয়েছিল। রাফি হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী শাহাদাত হোসেন শামীমের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে তিনটি বোরকা কিনেছিল মণি। শাহাদাত, জোবায়ের এবং জাবেদ হোসেন ওই তিনটি বোরকা পরে হত্যা মিশনে অংশ নিয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, রাফি হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার জোবায়েরকে বুধবার ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালে তাকে নিয়ে অভিযানে যাওয়া হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বোরকাটি উদ্ধার করা হয়। তাকে নিয়ে আরও কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।

হত্যার পরিকল্পনা, অর্থ লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয়ে রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ : মামলার তদন্ত সংস্থা বলছে, হত্যার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে হত্যার মিশন বাস্তবায়ন পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন জানতেন।

মামলার একাধিক আসামির ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসেছে, রাফির গায়ে আগুন দেয়ার পর আসামি শাহাদাতের সঙ্গে তার কথা হয়েছে।

ওই দিন ১০টা ১২ মিনিটে রাফি হত্যা মিশনে অংশ নেয়া শাহাদাতের সঙ্গে তার ৬ সেকেন্ড কথা হয়। প্রযুক্তিগত তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। অর্থ লেনদেনের বিষয়েও অনেক তথ্য পেয়েছে পিবিআই। রাফির গায়ে আগুন দেয়ার পর হত্যাকারীদের রক্ষার চেষ্টা করে গেছে রুহুল আমিন। থানা পুলিশ ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছিল সে।

পিবিআই সূত্র আরও জানায়, রুহুল আমিনের সহযোগী পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম আগুন দিতে খুনিদের ১০ হাজার টাকাও দিয়েছিল।

এছাড়া অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর তাকে রক্ষা করতে মাঠে নামে রুহুল আমিন। তার নির্দেশে অধ্যক্ষের পক্ষে মানববন্ধনের আয়োজন করে মাকসুদ আলম।

রাফির গায়ে আগুন দেয়ার পর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে যোগসাজশ করে আত্মহত্যার নাটক সাজায় রুহুল আমিন। অথচ রাফির গায়ে আগুন দেয়ার পর মামলার আরেক আসামি শাহাদাত তা রুহুল আমিনকে ফোন করে জানিয়েছিল। পুরো ঘটনা ধামাচাপা দিতে অধ্যক্ষ সিরাজের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার অভিযোগও উঠেছে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে।

ঢাকায় ফিরেছে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটি : রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত টিম ফেনী থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে। ৩ দিনের মাঠপর্যায়ের তদন্ত কার্যক্রম শেষে শনিবার দুপুরে তদন্ত টিমের সদস্যরা ঢাকায় ফেরেন।

এ বিষয়ে শনিবার বিকালে তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি এসএম রুহুল আমিন বলেন, মাঠপর্যায়ের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছি। কিছু ডকুমেন্টসহ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন সেগুলো পর্যালোচনা করব। পাশাপাশি আরও কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করব। এতে দু-তিন দিন সময় লাগবে। এরপর প্রতিবেদন লেখার কাজ শুরু হবে। সব মিলিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ৫-৬ দিন সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছি। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং সদ্য সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ পুলিশের ১০ সদস্যও আছেন। মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সদস্য, রাফির পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে এসপি এবং ওসিসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা কী উত্তর দিয়েছেন তা জানতে চাইলে ডিআইজি এসএম রুহুল আমিন বলেন, তদন্ত গুছিয়ে আনার আগে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।

মানববন্ধন : রাফির আত্মার মাগফিরাত কামনায় শনিবার সোনাগাজীর আলহেলাল একাডেমিতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। একাডেমির মিলনায়তনে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এদিকে রাফি হত্যার বিচারের দাবিতে সকাল ১০টার দিকে আজিজুল হক মায়মুনারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ-পূর্ব চরচান্দিয়া গ্রামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। কয়েকজন তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়।

অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ রাফি। এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে সে কারাগারে আছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026590824127197