নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে ৮ বছর বয়সী এক নূরানী শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই মাদরাসার দুই কিশোর শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। রবিবার (২৫ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার দুটি পৃথক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
শিশুটি উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাফেজ মহিউদ্দিন (রহ.) তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসায় ধর্ষণের শিকার হয়। সে ওই মাদরাসার মাজ্রা প্রথম জামাতের ছাত্র ছিল।
পুলিশ জানায়, নোয়াখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাজী কলোনী থেকে ধর্ষক সিফাতকে (১২) আটক করা হয়। সে কাজী কলোনীর সফি মিয়ার ছেলে এবং হাফেজ মহিউদ্দিন (রহ.) তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। অপরদিকে, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের একলাশপুর গ্রামের মুন্সি বাড়ি থেকে ধর্ষক হাসানকে (১১) আটক করে পুলিশ। সে একই গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত অলি উল্লার ছেলে।
শিশুটির বাবা জানান, কোরআনের হাফেজ করার উদ্দেশ্যে তার ছেলেকে ১ বছর আগে ওই মাদরাসায় ভর্তি করান। সে আবাসিক ছাত্র হিসেবে সেখানে থেকে পড়ালেখা করতো। গত শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ছেলের সঙ্গে দেখা করতে মাদরাসায় যায় তার বাবা। এ সময় শিশুটি তার বাবাকে গোপনে জানায় আমাকে বাড়ি নিয়ে যাও, কথা আছে। বাড়িতে এসে শিশুটি জানায়, হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ও হাসান দীর্ঘ দিন থেকে বেশ কয়েকবার তাকে বলাৎকার করে আসছে। মাদরাসার বড় হুজুরকে এ বিষয়ে শিশুটি জানালে ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুটিকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই ঘটনার পর শিশুটি অসুস্থ হলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। পরে রবিবার সন্ধ্যার দিকে এ বিষয়ে পুলিশকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে রবিবার সন্ধ্যার দিকে অভিযোগ পেলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামিকে আটক করে। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে।