নোয়াবের বিবৃতি : ৯ম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ কতটা বাস্তব?

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সংবাদপত্রের মালিকরা সবসময় সাংবাদিক-কর্মীদের আর্থিক সুরক্ষা ও বেতন-ভাতা দেয়ার চেষ্টা করে থাকেন। সে জন্য কষ্ট হলেও কিছু সংবাদপত্র সরকার ঘোষিত মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ বাস্তবায়নের চেষ্টা করে চলছে। কিন্তু বর্তমানে সংবাদপত্রশিল্প অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কঠিন সময় পার করছে। এই পরিস্থিতিতে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের অবাস্তব প্রস্তাব এই শিল্পের জন্য একটি বড় সংকট তৈরি করবে। নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান এককভাবে মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ চূড়ান্ত করে এ সংক্রান্ত সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। সুপারিশ চূড়ান্ত করার জন্য একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিও এ নিয়ে সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছে।

উল্লেখ্য, সপ্তম ও অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডও এভাবে একতরফাভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। জুন ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে সপ্তম মজুরি বোর্ডে মূল বেতনের ৮৯.৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বর ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে অষ্টম মজুরি বোর্ডে বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৭৫ শতাংশ। যে কারণে গুটিকয়েক পত্রিকা ছাড়া অন্যরা অষ্টম মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এ অবস্থায় নবম (২০১৯) মজুরি বোর্ড কমিটি ৮৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিসহ একটি অবাস্তব সুপারিশ জমা দিয়েছে, যা বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অতীতে যে গুটিকয়েক পত্রিকা মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন করত, তারাও এখন বাস্তবায়ন করতে পারবে না। নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) নবম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ প্রস্তাব বাস্তব নয় বলে মত প্রকাশ করেছে।

সারা বিশ্বেই সংবাদপত্রের ছাপা কাগজের সংখ্যা কমছে। আমাদের দেশে ৮-১০ শতাংশ হারে প্রিন্ট মিডিয়ার সার্কুলেশন/বাজার সংকুচিত হচ্ছে। বেসরকারি বিজ্ঞাপন আয় বার্ষিক প্রায় ২০ শতাংশ হারে কমেছে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দেও সেই ধারা অব্যাহত আছে। তা ছাড়া বর্তমানে ছাপা কাগজকে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে টেলিভিশন, অনলাইন পোর্টাল, সোশ্যাল মিডিয়াসহ অন্যান্য মিডিয়ার সঙ্গে। বর্তমানে বিজ্ঞাপন বাজারের বড় এক অংশই সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন পোর্টাল, ফেসবুক ও গুগলের নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে সরকারি বিজ্ঞাপনের হার অত্যন্ত কম। তারপরও সরকারের কাছে ১৫টি পত্রিকার মোট প্রায় ৮৫ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন বিল পাওনা রয়েছে। পাশাপাশি বার্ষিক প্রায় ১০ শতাংশ হারে সরকারি বিজ্ঞাপন কমছে। এ ছাড়া সংবাদপত্রের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্টের ওপর আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট মিলে ল্যান্ডেড কস্ট হিসেবে প্রায় ২৬ শতাংশ পরিশোধ করতে হচ্ছে। সম্ভবত সংবাদপত্রই একমাত্র পণ্য, যার উৎপাদন খরচ পণ্যের বিক্রয় মূল্যের থেকে ৩ গুণ বেশি। বিজ্ঞাপন আয় কমে যাওয়ায় এই ঘাটতি পূরণ করে প্রতিষ্ঠান চালানো অসম্ভব পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নবম মজুরি বোর্ডের অবাস্তব সুপারিশ বাস্তবায়ন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দেবে।

উল্লেখ্য, সরকার ঘোষিত ৪২টি শিল্পের মধ্যে কোনো শিল্পেরই বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের মতো নয়। সর্বশেষ দুটি সংবাদপত্র ওয়েজ বোর্ডের বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১৬৫ শতাংশ। সর্বশেষ দুটি তৈরি পোশাক শিল্পের ওয়েজ বোর্ডে বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে বেতন বৃদ্ধির পরিমাণই সবচেয়ে বেশি। এরপরও ৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড কমিটি ৮৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির অবাস্তব প্রস্তাব করেছে।

গ্রেড :

৮ম ওয়েজ বোর্ড অনুসারে গ্রেডের শুরুর মোট বেতন (বর্তমান) (প্রস্তাবিত)

৯ম ওয়েজ বোর্ড অনুসারে গ্রেডের শুরুর মোট বেতন

১) ৬৭,৬৪৫ – ১,১৬,০৯৫

২) ৫১,৯৮০ – ৯০,০৯৫

৩) ৩৮,০৭৩ – ৬৭,১১২

৪) ২৫,৪২০ – ৪৪,৯৬২

৫) ২২,৫৯৫ – ৩৯,৮৮৯

৬) ২০,২৩১ – ৩৫,৬৭০

বর্তমান অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের অধীনে সর্বনিম্ন গ্রেডের (গ্রেড-৬ : পিয়ন, দারোয়ান, মালী) মোট বেতন ২০,২৩১ টাকা। যেখানে একই রকম কাজের জন্য বর্তমান সরকারি বেতন স্কেলে সর্বনিম্ন গ্রেডের (গ্রেড-২০) মোট বেতন ১৫,৩৫০ টাকা। অর্থাৎ সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে সর্বনিম্ন গ্রেডের বেতন সরকারি বেতন স্কেলের তুলনায় প্রায় ৫,০০০ টাকা বেশি। আর ব্যতিক্রম ছাড়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বনিম্ন গ্রেডের মোট বেতন গড়ে ১০-১২ হাজার টাকার বেশি নয়। এ অবস্থায় নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে সর্বনিম্ন (গ্রেড-৬) গ্রেডের বেতন ৩৫,৬৭০ টাকা সুপারিশ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একেবারেই অবাস্তব মনে করে নোয়াব।

অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী একজন রিপোর্টার গ্রেড-৩-এ যোগদান করেন ৩৮,০৭৩ টাকা বেতনে। যেখানে বর্তমান সরকারি বেতন স্কেলের অধীনে সেরা ছাত্ররা একজন সিভিল ক্যাডার শুরুতে গ্রেড-৯-এ যোগদান করেন ৩৫,৬০০ টাকা বেতনে এবং একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শুরুতে গ্রেড-৮-এ যোগদান করে মোট বেতন পায় ৩৭,১৫০ টাকা। অর্থাৎ এখানেও সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড অনুসারে একজন রিপোর্টার একজন সরকারি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার চেয়ে প্রায় ২,৪৭৩ টাকা বেশি বেতন পাচ্ছেন। আর ব্যতিক্রম ছাড়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই লেভেলের মোট বেতন গড়ে ২৫-৩০ হাজার টাকার বেশি নয়। এ অবস্থায় নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে গ্রেড-৩-এর একজন রিপোর্টারের শুরুর বেতন ৬৭,১১২ টাকা সুপারিশ করা হয়েছে। এই বেতন দেয়া যে কোনো সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের জন্য অসম্ভব ব্যাপার।

কেননা, সরকার সংবাদপত্রশিল্পের কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য মজুরি বোর্ড ঘোষণা করে। আর সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব আয় বাড়িয়ে এই মজুরি বোর্ডের ব্যয়ভার বহন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিশেষ সহায়তা ও অনুদান থাকে না। উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ-সুবিধাও থাকে না। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এবং ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে চাইলেই সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে পারে না।

বিবিএস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড বাস্তবায়নের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ৩৬.৩৪ শতাংশ। এই সময়কালে অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড অনুসারে শুধু একটি করে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট হিসাব করলেও প্রায় ২৮.৮০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাস্তবে বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ আরও অনেক অনেক বেশি। যোগ্য কর্মীদের ধরে রাখতে বা চাকরিতে উৎসাহিত করতে অনেক সময় অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধি করতে হয়। তাই নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে ১০-১২ শতাংশ-এর বেশি বেতন বৃদ্ধি বাস্তব নয় বলে নোয়াব মনে করে।

এ ছাড়া নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে এমন কিছু বিষয় ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, যেগুলোও রুগ্ন সংবাদপত্রশিল্পের জন্য বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যেমন-

১. সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে গ্রেড সংখ্যা ৬। সরকারের জাতীয় বেতন স্কেলে ২০টি। ব্যাংক-বিমাসহ দেশের অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্রেডের সংখ্যা ১৮ থেকে ২২ পর্যন্ত। সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে গ্রেড সংখ্যা কম থাকার কারণে প্রতিষ্ঠান চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

২. বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২(১০) ধারায় প্রতি বছর চাকরির জন্য ১টি গ্র্যাচুইটির বিধান আছে। অন্যান্য শিল্পেও গ্র্যাচুইটি বছরে ১টির বেশি নেই। অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রম আইনের এই বিধানও অনুসরণ করে না। সেখানে মজুরি বোর্ডে প্রতি বছরের জন্য ২টি গ্র্যাচুইটির বিধান একটি অবাস্তব আর্থিক চাপ।

৩. ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪ অনুযায়ী যার আয় তাকেই আয়কর বহন করার নিয়ম। কিন্তু সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড অনুসারে সংবাদপত্রের সব সাংবাদিক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর আয়কর সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান থেকে দিতে হয়। সরকারিসহ অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নিজে তার আয়কর প্রদান করেন। দেশে এমন কোনো আইন উচিত নয়, যেটা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য নয়।

৪. নবম সংবাদপত্র ওয়েজ বোর্ডে বাড়িভাড়া দেয়া আছে ৬৫ শতাংশ। কিন্তু ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪-এর বিধি ৩৩(এ) অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া ৫০ শতাংশ আয়করমুক্ত। অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ ব্যক্তির আয় হিসাবে ব্যক্তি খাতের আয়করের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

৫. সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে প্রতি ৩ বছর পরপর এক মাসের মোট বেতন ও ৩০ দিনের বিনোদন ছুটির বিধান রাখা হয়েছে। সরকার ঘোষিত অন্যান্য শিল্পে এই সুবিধা নেই।

৬. এ ছাড়া কিছু প্রান্তিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যেগুলো বাস্তব নয় বা কেউ বাস্তবায়ন করে না, সেগুলো ওয়েজ বোর্ড থেকে বাদ দেয়া জরুরি। যেমন : দায়িত্ব ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, কারিগরি ভাতা, চক্ষু ঝুঁকি ভাতা, কেমিক্যাল পয়জনিং ভাতা, আউটফিট ভাতা, পোশাক ও ধোলাই ভাতা ইত্যাদি।

৭. সংবাদপত্র সেবা শিল্প হওয়া সত্ত্বেও এর করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ।

৮. সংবাদপত্রশিল্প ভ্যাট অ্যাক্ট ১৯৯১-এর শিডিউল-২ (অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেবার তালিকায়) তে থাকার পরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে।

৯. ভ্যাট অ্যাক্ট ১৯৯১-এর ৫৩(কে) অনুসারে সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর ৪ শতাংশ টিডিএস/এআইটি দিতে হচ্ছে। অপরদিকে কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে উৎসস্থলে ৫ শতাংশ টিডিএস দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৯ শতাংশ টিডিএস দিতে হচ্ছে। অথচ অনেক সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশই ৯ শতাংশ হয় না।

বিগত সপ্তম ও অষ্টম ওয়েজ বোর্ডে নোয়াব সদস্যরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করলেও নোয়াব সদস্যদের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো নয়। সব মজুরি বোর্ডেই উল্লিখিত বিষয়গুলো নোয়াব থেকে তুলে ধরা হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা না করে প্রায় একতরফাভাবে মজুরি বোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে। নোয়াবের প্রত্যাশা ছিল, এবার নবম মজুরি বোর্ড প্রণয়নের সময় অন্তত মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম আলোচনার মাধ্যমে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নবম মজুরি বোর্ডের ক্ষেত্রেও এই অভিজ্ঞতা ভিন্ন হয়নি।

সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের মতামত বিবেচনায় না নেয়ায় মজুরি বোর্ড শুধু বেতন-ভাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা দিন দিন এই শিল্পকে রুগ্ণ করছে। অবাস্তব আর্থিক চাপ সামলাতে না পেরে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীর সংখ্যা কমানো, ওয়েজ বোর্ড না দেয়া বা আংশিক দেয়া এবং সর্বোপরি প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর্যায়ে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

সর্বশেষ (০৩/০৬/২০১৯) চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নিরীক্ষা শাখার প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে মোট ৬৮৪ (ঢাকা ৩৪৬ + মফস্বল ৩৩৮)টি পত্রিকার মধ্যে ১৫৮ (ঢাকা ১০৯ + মফস্বল ৪৯)টি (প্রায় ২৩ শতাংশ) পত্রিকা অষ্টম মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে। যদিও এই প্রতিবেদনের সঙ্গেও বাস্তবতার কোনো মিল পাওয়া যায় না। নোয়াবের জানা মতে, অল্প কিছু সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানই কেবল পুরোপুরি মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ বাস্তবায়ন করে।

তাই নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে মালিক-সাংবাদিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত রোয়েদাদ ঘোষণা দেয়া প্রয়োজন। একটি শিল্পের ভালো থাকার সঙ্গে ওই শিল্পে কমর্রত কর্মীদের ভালো থাকা নির্ভরশীল।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044770240783691