‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩’ লঙ্ঘন করে গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে নড়াইলের ৯৬ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আইন ভঙ্গ করে প্রকাশিত ফলাফল কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও অ্যাডভোকেট শাহ্ নেওয়াজ।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে— ‘এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থী,২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।’
অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বলেন, ‘গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে আইনের বিধান অনুসরণ করা হয়নি। তাই প্রতিকার চেয়ে নড়াইলের মৌমিত চক্রবর্তী নামের এক নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এই স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করলেন।’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফলাফল প্রকাশ করে।