জামাত সমর্থক হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হককে পটিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছাত্র-জনতা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশ বাতিলে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ছাত্ররা।
জানা যায়, দীর্ঘ ৩০ বছর চট্টগ্রাম কলেজ জামায়েত শিবিরের দখলে ছিল। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে দীর্ঘসময় চট্টগ্রাম কলেজে কর্মরত থাকা মোজাম্মেল হক শিবিরের নেতাদের সাথে সখ্যতার কারণে চট্টগ্রাম কলেজের আশ-পাশের এলাকায় কোচিং বাণিজ্য চালাতো। শিবিরের কলেজ শাখার সাবেক নেতা জুয়েল, আনোয়ারের সাথে যৌথ মালিকানায় তিনি গড়ে তোলেন চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেইটের মেট্টোপলিটন সায়েন্স কলেজ। ২০০১ খ্রিস্টাব্দে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রতাপের সাথে চট্টগ্রামে বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করত। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগ মিছিল-সমাবেশ শুরু করার পর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জানুয়ারি তৎকালীন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম কলেজে শিবিরের মদদপুষ্ট ৮ শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়। যা চট্টগ্রামের বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়। সেই তালিকার ১নং ব্যক্তি তৎকালীণ পদার্থবিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। ঐ সময় ছাত্রলীগ অনেকবার কলেজের স্বার্থে তৎকালীন শিক্ষমন্ত্রীর কাছে তাকে বদলীর দাবি জানালেও অজ্ঞাত কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। জামাত সমর্থক হলেও আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে তার স্ত্রী চট্টগ্রাম সরকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের উপাধ্যক্ষ ও তিনি চট্টগ্রাম কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় পদে পদায়ন নিয়েছিলেন।
এদিকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে চট্টগ্রামের পটিয়া সরকারী কলেজের পদায়ন করেন। অনুসন্ধানে জানা যায় চট্টগ্রাম বোডের্র সাবেক এক চেয়ারম্যান তাকে আওয়ামীলী সাজিয়ে মন্ত্রণালয়ে তদবির করেন। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রাম অঞ্চলে অধ্যক্ষ পদে প্রথম পদায়ন জামাত সমর্থক শিক্ষক হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সর্বস্থরের ছাত্রজনতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ছাত্ররা।