পটুয়াখালীতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের মধ্য কয়েক দফা রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বিশেষ গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্তত দশ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুত অবস্থায় একজনকে বরিশাল শের-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে সরকারী কলেজ এবং পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল চত্বরসহ শহরের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালী সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বেলাল সিকদার রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার আরজু অভিযোগ করে জানান, সরকারী কলেজের মুল ফটকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ও ব্যানার প্রদর্শন করে কলেজ ছাত্রলীগ। রাতে জামায়াত-শিবির সমর্থীত ছাত্ররা সেই ছবি ও ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এর জের ধরে আজ শনিবার সকালে কলেজের সাধারণ ছাত্ররা কলেজ প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করার উদ্যোগ নিলে জামায়াত-শিবির সমথীর্তরা বিক্ষোভে বাধা প্রদান করে। এসময় উভপক্ষের মধ্য বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মইন খান চানুর নেতৃত্বে সংঘর্ষ বাধে। এসময় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক আরজু এবং ছাত্র সুমন আহমেদ ওরফে ড্যান্স সুমন এবং আল-আমিনসহ ৫/৬ জন আহত হয়।
এসময় এক পুলিশ সদস্যকে চানুর লোকজন মারধোর করে। এদিকে ছাত্রলীগের মধ্যে মারধরের ঘটনার তথ্যচিত্র ধারন করতে গিয়ে পটুয়াখালী বিশেষ গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য মোঃ জামাল উদ্দিন (৩০) হামলার শিকার হয়। এ হামলায় পুলিশ সদস্যের ডান কান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তবে পুলিশ সদস্য জামালকে কোন পক্ষ হামলা করেছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে। এসময় হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।