নদী ভাঙ্গনের কবলে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চর বয়ারমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার (০৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। তাই, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মার পানি কমতে থাকার সাথে সাথে আকস্মিকভাবে পদ্মার ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে করে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়টির একটি ভবন নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
গোদাগাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ২০০০-০১ অর্থ বছরে বিলীন হওয়া পাকা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি পিইডিপি-৩ এর আওতায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে উর্ধ্বমুখী তিন তলা সম্প্রসারণ করা হয়। তবে এই ভবনটিও ঝুকির মধ্যে রয়েছে, যে কোন সময় নদীর ভাঙ্গনে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ স্কুলে ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া, হবিপাড়া, আমিনপাড়া, চর বয়ারমারী, আদর্শগ্রামের ২৬৯ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। দুই ভবনে ৬টি শ্রেণি কক্ষর মধ্যে ৩টি রুম নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেল।
চর আষাড়িয়া দহ ইউপি চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অব্যাহত ভাঙ্গনের কারণে স্কুলটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তেই অন্য পাকা ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মমতাজ মহল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয়টি রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার উপায় ছিল না। কারণ বিদ্যালয়টি পদ্মা তীরের নিকটবর্তী। জিওব্যাগ বা অন্য কোনো উপায়ে ভাঙ্গন রোধ করে করার ক্ষমতা আমাদের ছিল না। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে একাধিক বার পরিদর্শন করে বিদ্যালয়টি রক্ষার সম্ভাব হয়নি। স্কুলটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইমরানুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয় ভবনটি নদীতে বিলীনের বিষটি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অস্থায়ীভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে।