২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে মারা গিয়েও রেহাই নেই সহকারী অধ্যাপক সানাউল্লাহ হায়দারের। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড তাকে চলতি উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবহারিক পরীক্ষায় বহিঃপরীক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে। এ ঘটনায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট কলেজের ব্যবহারিক পরীক্ষার কমিটিকে। মৃত শিক্ষক সানাউল্লাহ হায়দার কাপাসিয়া শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত ব্যবহারিক পরীক্ষায় ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পাঠানো বহিঃপরীক্ষক হিসেবে সানাউল্লাহ হায়দারের নাম দেখা যায়।
কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের এক সহকারী অধ্যাপক জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় আমাদের কলেজে জীববিজ্ঞান বিষয়ে বহিঃপরীক্ষকের তালিকায় মোবাইল নম্বরসহ সানাউল্লাহ হায়দারের নাম আসে। পরে তার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী কল রিসিভ করেন। তখন জানা যায় সানাউল্লাহ হায়দার গত ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে মারা গেছেন। এরপর একজন শিক্ষক ছাড়াই বোর্ডের নিয়োগ দেওয়া বাকি পরীক্ষকদের দিয়ে জীববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হয়েছে।
সহকারী ওই অধ্যাপক আরও জানান, বিগত বছরগুলোতে ব্যবহারিক পরীক্ষকদের নির্দেশিকা প্রিন্টেড কপি দেওয়া হলেও এবারে অনলাইনে সরবরাহ করা পরীক্ষকদের নির্দেশিকাটি ছিল হাতে লেখা। যা ছিল কাটাকাটিতে ভরা।
ঢাকা বোর্ডের সচিব তপন কুমার সরকার জানান, প্রতি বছর কলেজের শিক্ষকদের তথ্য অনলাইনে আপডেট করতে বলা হয়। কিন্তু ওই কলেজের শিক্ষকদের তথ্য হয়তো আপডেট করা হয়নি। ফলে আগের তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে (সানাউল্লাহ হায়দারকে) বহিঃপরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে এটা ঠিক হয়নি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
হাতে লেখা ব্যবহারিক পরীক্ষার শিক্ষকদের নির্দেশিকা প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারই প্রথম অনলাইনে ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাড়াতাড়ি করার কারণে এবার হাতে লিখেই অনলাইনে তা দিতে হয়েছে।
কাপাসিয়া শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, কলেজের আইসিটি শিক্ষককে ওই তালিকা আপডেট করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি আপডেট করেছিলেন কিনা আমার জানা নেই।