শ্রেণিকক্ষে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকায় কেশবপুর সরকারি কলেজের অনার্সসহ ডিগ্রি (পাস) কোর্সের ৪৪০ শিক্ষার্থীর ফরম ফিলাপ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সোমবার ফরম ফিলাপের আশায় ঐ কলেজের শত শত শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।
১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ডিগ্রি (পাস) কোর্স চালু রয়েছে। এরপর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে অনার্স কোর্স চালু হয়। সাতটি বিষয়ে ৪১২ জন ও ডিগ্রি (পাস) কোর্সে ১১৬ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফরম ফিলাপের শেষ দিন আজ ১ অক্টোবর; কিন্তু শ্রেণিকক্ষে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকায় সোমবার পর্যন্ত মাত্র ৮৮ শিক্ষার্থী ফরম ফিলাপের সুযোগ পেয়েছেন। আর শর্ত পূরণ না হওয়ায় ডিগ্রি (পাস) কোর্সে ১১৬ জন ও অনার্সে ৩২৪ শিক্ষার্থী ফরম ফিলাপে ব্যর্থ হন।
অনার্স ব্যবস্থাপনা তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী বিশ্বজিত দাস ও ইতিহাস বিভাগের তাহারিমা আক্তার শিলা জানান, কলেজ প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫১ বছরে এমন সিদ্ধান্ত কখনো নেওয়া হয়নি। এই প্রথম এ সিদ্ধান্ত নেয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন।
কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ৫ আগস্ট শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উপস্থিতির হার বাড়াতে পৃথক দুইটি মতবিনিময় সভা করা হয়। এছাড়া শহর ও গ্রামাঞ্চলে মাইকিং করা হয়েছে। তারপরও উপস্থিতির হার বাড়ানো সম্ভব হয়নি। যে কারণে এসব শিক্ষার্থী ফরম ফিলাপের সুযোগ পাচ্ছে না।
কেশবপুর সরকারি কলেজের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বাড়াতে অনেক চেষ্টা করেছি। যারা ফরম ফিলাপের সুযোগ পাচ্ছে না, তাদের শ্রেণিকক্ষে ১০ শতাংশও উপস্থিতি নেই।