পরীক্ষা কেন্দ্রে গোপনে মোবাইল ফোনে কথা বলে ধরা পড়েছেন রাজধানীর আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। তিনি আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে আজ রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) আরবী ১ম পত্র পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। অভিযুক্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিমকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: সোহরাব হোসাইন।
সচিব বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে কথা বলছেন বলে তথ্য পেয়েছি। পরে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখলাম ঘটনা সত্যি। তারপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
সচিব বলেন, ‘ওই সময়ে আমি ও শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় এবং মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মো: আলমগীর আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলাম। কেউ রেহাই পাবে না।’
সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে অভিযুক্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিমকে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর যাবত একশ্রেণির শিক্ষক ও কর্মকর্তা পরীক্ষা শুরুর কয়েকমিনিট আগেই প্রশ্নপত্রের কপি করে বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেসরকারি কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে এমপিও স্থগিত করলেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কাউকে শাস্তি দেয়ার উদাহরণ নেই। শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সব পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকরা রয়েছেন।