গোপালগঞ্জে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দাখিল পরীক্ষা দিতে পারেনি ১৬ শিক্ষার্থী। পরীক্ষা দিতে না পেরে ওই শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে এক বছর ঝরে পড়েছে। তাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
দাখিল পরীক্ষা এলেই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাচুড়িয়া অহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্র্রেশন ও ফরম পূরণ বাণিজ্যে নেমে পড়ে। অন্য স্কুল ও মাদরাসা থেকে ফরম পূরণের সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের এ মাদরাসা থেকে রেজিস্ট্র্রেশন এবং ফরম পূরণ করিয়ে দাখিল পরীক্ষায় পাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এ জন্য পরীক্ষার্থীপ্রতি ৮ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
গত নভেম্বর থেকে চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে একই সময় ৩৪ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করিয়ে দেয়। এই ২২ শিক্ষার্থী পাচুড়িয়া অহম্মদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছে। বাকি ১৬ জনের রেজিস্ট্র্রেশন ও ফরম পূরণে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়। তারা এবার পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ কারণে তারা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছে।
মাদরাসার সহকারী সুপার মো. জাকারিয়া বলেন, আমাদের মাদরাসায় অছাত্র ছেলেমেয়েদের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ কাজ করতে গিয়েই ১৬ শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে মাদরাসায় পড়াশোনা হয় দাবি করে তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে মাদরাসা বন্ধ থাকে। তবে এক বছর আগে পাচুড়িয়া গ্রামে একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে মাদরাসার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, ১৬ পরীক্ষার্থীর কাজগপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের রেজিস্ট্র্রেশন এবং ফরম পূরণের সুযোগ দেয়নি। তবে তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।