পরীক্ষার্থীদের টাকায় শিক্ষকদের ভুরিভোজ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি |

পরীক্ষার্থীদের টাকায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভূরিভোজ করানোর অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ভরাপাড়া ফাজিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই কেন্দ্রে এ বছর উপজেলার আট মাদরাসার ৬৬৫ জন শিক্ষার্থী জেডিসি পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই ভরাপাড়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিব আবু সাদেক কেন্দ্র খরচের কথা বলে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করছেন। অধ্যক্ষ আবু সাদেকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব হয়নি। উপাধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, পরীক্ষার্থীরা ১৫০ টাকা করে কেন্দ্র ফি দেওয়ার কথা। তবে এর পরও কেন্দ্র খরচ সংকুলান না হওয়ায় বিভিন্ন মাদরাসা প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বাড়তি ৫০ টাকা করে আদায় করার সিদ্ধান্ত হয়। এ টাকা দিয়ে খাওয়া-দাওয়া হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই দিন সকাল-বিকেল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ওই দুই দিন কর্তব্যরতদের খাওয়া-দাওয়া করানো হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করার কোনো বিধান নেই এবং খাওয়া-দাওয়ারও কোনো নিয়ম নেই। ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দাউদ হোসেন নিয়ম বহির্ভূতভাবে এনড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে কর্তব্য পালন করছেন বলে অভিযোগ ওঠায় পরীক্ষার্থী, শিক্ষক ও সচেতন মহলে সমালোচনা রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053582191467285