হাটহাজারী উপজেলার আওতাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আম্বিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক চারুকারু পরীক্ষার ইস্যুকে পুঁজি করে এ রকম অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা যায়, চসিকের পাঁচলাইশ থানাধীন বিদ্যালয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ১ম ও ৪র্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষায় খরচ নির্ধারণের ক্ষেত্রে শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দ্বিগুণ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক গরিব ও অসহায় শিক্ষার্থীসহ সবার কাছ থেকে নানা কৌশলে হাজার হাজার টাকা অর্থ বাণিজ্য করছেন বলে জানা গেছে। অথচ নিয়ম মোতাবেক চলমান বার্ষিক পরীক্ষায় ১ম শ্রেণি থেকে ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভেদে ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকা সর্বোচ্চ পরীক্ষা ফি আদায় করা যাবে।
বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১ম শ্রেণিতে ১০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা, ২য় শ্রেণিতে ১৫ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, ৩য় শ্রেণিতে ২৫ টাকার পরিবর্তে ৫৫ টাকা ও ৪র্থ শ্রেণিতে ৩৫ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক রেখা প্রভা শীলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরীক্ষার অতিরিক্ত ফি নেয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, চারুকারু পরীক্ষার জন্য কিছু অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি দম্ভোক্তি করে বলেন, আমি দুর্নীতি করি না। এসব অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের জন্য কিছু সরঞ্জাম ক্রয় করি।
বিষয়টি নিয়ে পাঁচলাইশ থানাধীন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল হামিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্ধারিত ফি’র বেশি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।