বিভিন্ন পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত ৪ হাজার ৪৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অর্ধেকের পরিবর্তে তাদের গ্রেডভিত্তিক সম্মানীভাতা দিতে ৫১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে প্রস্তাবনাসহ একটি আধা-সরকারি পত্র পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় শিফট পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ৪ হাজার ৪৭৮ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৫০ শতাংশ সম্মানীভাতা পেতেন। বরিশাল পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের একজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, ২য় শিফট পরিচালনার জন্য ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পে-স্কেল অনুসারে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুন পর্যন্ত মোট বেতনের ৫০ শতাংশ হারে সম্মানী ভাতা দেয়া হয়। কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে এক আদেশ জারির মাধ্যমে তা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের স্কেলের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এতে শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা কমেছে। নতুন এই আদেশ অমানবিক। এজন্য মূল বেতনের শতভাগ সম্মানী ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা।’
সূত্র জানায়, কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ৪ হাজার ৪৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০ শতাংশের পরিবর্তে গ্রেডভিত্তিক নির্ধারিত হারে সম্মানী ভাতা দিতে ৫১ কোটি ৫৫ লাখ ১২ হাজার টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে একটি আধা-সরকারি পত্র পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৬ জুলাই অর্থ বিভাগে এসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রস্তাবিত গ্রেড ভিত্তিক নির্ধারিত বেতন হারের বিবরণী পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলমান দ্বিতীয় শিফটের সম্মানী ভাতার সমস্যা নিরসনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।